ঝিকরগাছার শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু সরদারের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার।ঝিকরগাছায় ২২ দিনের ব্যবধানে চার খুন
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি। যশোরের ঝিকরগাছার শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু সরদারের গুলিবিদ্ধ লাশ রোববার সকালে মনিরামপুর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে দু’দল সন্ত্রাসীর বন্দুক যুদ্ধে অন্তত: ৩০ মামলার আসামি সন্ত্রাসী রাজু নিহত হয়েছে। নিহত রাজু সরদার(৩৫) ঝিকরগাছা পৌরশহরের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত রবিউল সরদারের ছেলে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ গতকাল বিকেলে রাজুর লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। জানাজাশেষে সন্ধ্যার পর পারিবারিক কবরস্থনে লাশ দাফন করা হয়। স্থানীয়রা জানান,রোববার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার সরনপুর জয়েন্ট ইট ভাটার পাশে সরিষা ক্ষেতে রাজুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওসি মোকাররম হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, লাশের চোখ ও গলার নিচে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্ন ছিল। স্থানীয় রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু আনসার জানান, তিনি শুনেছেন পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে সন্ত্রাসী রাজু নিহত হয়। তবে মনিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, তিনি শুনেছেন শনিবার গভীর রাতে এলাকায় দু’দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজু নিহত হয়। রাজু ঝিকরগাছার টপ সন্ত্রাসী ছিল। গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ঝিকারগাছার ছাত্রলীগ কর্মী মিলন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল এ রাজু। এছাড়াও রাজুর নামে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকদ্রব্য, অস্ত্রসহ প্রায় ২৫ টি মামলা রয়েছে। গত শনিবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসী পালসার বাবুর প্রতিপক্ষ বাহিনীর অন্যতম সন্ত্রাসী রাজু সকল অপকর্ম করে আসছিল। রাজুর অত্যাচারে এলাকাবাসী ছিল অতিষ্ঠ। পুলিশের ধারনা প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজু নিহত হবার পর তার লাশ হয়ত মনিরামপুর সিমানায় রেখে গেছে।তবে নিহত রাজু সরদারের বড়ভাই বাবু সরদারের দাবি দলিয় প্রতিপক্ষরা তার ভাইয়ের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গত ৩ জানুয়ারী দিনদুপুরে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের বড়ভাই আব্বাস মোল্লা খুন হয়। ৬ জানুয়ারী ভোরে আব্বাস মোল্লা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী পালসার বাবু র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর দলীয় কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী মিলন হোসেন (২৫) খুন হয়। এ নিয়ে গত ২২ দিনের ব্যবধানে ঝিকরগাছায় চারটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটল। ফলে ঝিকরগাছাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।