পতœীতলায় প্রচন্ড শীতের প্রকোপে প্রবীণরা, শিশুকিশোর ও গবাদি পশু
মাসুদ রানা, পতœীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁ পতœীতলায় প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ সেই সাথে শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা কেউ। তীব্র এই শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতাও চরম দূর্ভোগ। বাহিরে তো দুরের কথা ঘরের মধ্যেও টেকা দুরুহ হয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সুর্য্যরে দেখা মিললেও তা ছিল নিরুত্তাপ। ঘন কুয়াশা আর একটানা হিমেল বাতাসে মানুষের দুর্দশাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভন্ন রোগে ,জর সর্দি,কাশি,এ্যাজমা,বাত ব্যাথা এর মতো নানান ব্যাধি ।প্রবীণ ব্যাক্তি ওয়াজেদ আলি ও আলিমদ্দীন উভয়ের বয়স ষাট উর্ধে , তরা জানান শেিতর কারনে কমর ও হাটুর ব্যাথা বেড়েছে।এ্যাজমা রোগি মহাতাব আলী জানান শ্বাসকষ্ট বেড়েছে ,ইনহেলার নিতে হচ্ছে দিনে দু বার ।
তীব্র শীতে জমিতে চাষকৃত শস্যের কি সমস্যা হচ্ছে তা এখনই বলা যাবেনা। এর প্রভাব ক’দিন পর বোঝা যাবে। তবে শীতের তীব্রতা জনিত কারনে ধানের বীজতলায় পচন ধরার সম্ভবনা থাকে। টমাটো ও আলু ক্ষেতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এদিকে গতবছরের তুলানায় এ বছর সরকারী ও বেসরকারী ভাবে শীতবস্ত্র বিতরনের উদ্যোগ খুবই কম যা দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একবাইে কম।
নাদৌড় গ্রামের বয়স্ক একাধিক ব্যক্তি জানান পতœীতলায় গত ৫০ বছরেও এমন শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়নি এ কারনে সেই প্রস্তুতি শীতর্তদের মাঝে নাই। এই কনকনে শীতে সব কিছুতেই নেমে এসছে স্থবিরতা। উচ্চ আয়ের মানুষগুলো শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটের অভিজাত দোকান থেকে কিনছে শীতের কাপড় আর নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো ভিড় করছে ফুটপাতের হকার্স পট্টীতে গরম কাপড় কেনার জন্য । কাপড় কিনতে আসা অনেকেই জানায় কয়েক দিন আগেই যে কাপড়ের দাম ছিল ৫০/১০০ সেটা এখন ১৫০/২০০ টাকায় কিনতে হ”ছে প্রচন্ড শীতের কারনে ।
মানুষের সাথে ত্রীব্র শীতের প্রকোপে গবাদি পশু পখি, একাধিক ব্যক্তি জানায় যাদের নিজেরই থাকার জায়গা সংকট গরু ছাগল রাখবে কি করে তাই বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে গবাদি পশু।পতœীতলার নাদৌড় গ্রামের একাধিক শ্রমজিবী দিনমজুর লোকেরা জানান গত এক সপÍাহ ধরে কাজকাম হচেছ না ঠান্ডার কারণে গরু ছাগল মাঠে নিয়ে যেতে পারছি না তাই নিজেদের খাবার জোটাতে হিমশিম পশুর খাবার কিভাবে কিনবো তাই বিক্রী করতে হচ্ছে কম দামে।
পতœীতলা উপজেলা স¦া¯থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শাহ নেয়াজ শহিদুল ইসলাম (সুমন) জানান, হাসপাতালে শীতজনিত কারনে ভর্তি রোগির সংখ্যা তেমন বাড়েনি । হাসপাতালের বহি বিভাগে একটু বেড়েছে ,প্রয়োজন মত ঔষধ সরবরাহ আছে । রোগিদের সঠিক ভাবে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে।তবে শতি যদি এরকমই থাকে তাহলে রোগির সংখ্যা বাড়তে পারে। উপজেলায় এ পর্যন্ত শীতজনিত রোগে হাসপাতালে কেউ মারা যায়নি।