গোপালগঞ্জে উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামী ১১ জানুয়ারী থেকে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে উন্নয়ন মেলা-২০১৮। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো: হাসিবুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেেেয়ছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রুপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে বর্মমান সরকার রুপকল্প ২০২১ এবং রুপকল্প ২০৪১ কে সামনে রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গোপালগঞ্জের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ও সেবাকে অধিকতর জনমূখী করতে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পর্চা প্রদান, ই-ফাইলিং ব্যবস্থা প্রবর্তন, ই-কোর্ট প্রবর্তন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, ভূমি অধিগ্রহন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করনসহ নানা মূখী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার আরো বলেন, ২০০৯ সালে থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ ২০০ কি:মি: রাস্তা, ৫০০ মিটার সেতু নির্মান করেছে। বর্তমানে আরো একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এছাড়াও আরো ৮টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতে আওতায় আনার লক্ষে ৩১৭টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপন করাসহ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সিস্টেম লস কমিয়ে আনা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গ্রামীন পানি সরবরাহের আওতায় ১০.২০ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০৭৪টি গভীর নলকূপ ও ৭০টি পিএসএফ স্থাপন করেছে। আর্সেনিক মোকাবেলায় পল্লী এলাকায় ৬০% বা তার অধিক এলাকায় আর্সেনিক মুক্ত পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ নির্মান, ১৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করা হয়েছে। মধুমতি নদীতে চাপাইল সেতু নির্মানের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জের সাথে নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার ৩গুন বেড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যুর হার রোধ এবং জনসংখ্যা কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূখী পরিকল্পনা সমুহ দারিদ্র দূরীকরন, নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে অচিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবতার মুখ দেখবে। উন্নয়ন মেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ মেলায় ৭৩টি স্টল এবং জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণিল ও কর্মময় এবং রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরার জন্য মেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হবে। সেই সাথে শেখ হাসিনা কর্নারও স্থাপন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য একটি মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন করা হবে। সর্বোপরি স্থানীয় উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের সাথে সমন্বয় করে মেলায় একটি সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হবে।