আ’লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ৪ বছর পূর্তি
চার বছর পূর্ণ করে ৫ বছরে পা রাখলো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের সরকার গঠন করার সময়টাতে দেশের রাজনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ, সহিংসতাপূর্ণ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি জ্বালাও-পোড়াও আর চরম সহিংসতার মুখে শপথ নেয় বর্তমান মন্ত্রিসভা। যাত্রা শুরু হয় দ্বিতীয় মেয়াদের। প্রায় তিনমাসের সহিংসতা মোকাবেলা করে দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারা দেশবাসীর জন্য বড় ধরনের স্বস্তি ছিল।
তারপর একের পর এক সন্ত্রাসি হামলা, বিদেশি নাগরিক হত্যা আর জঙ্গিদের উত্থান দমন করে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনুকুলে রেখে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সরকারের বড় ধরনের সফলতা বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।
তবে শিক্ষাখাতে একেরপর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বহুমুখী প্রশ্নের সম্মুখীন করলেও তা ঠেকাতে সরকারের উদ্যোগও ছিল প্রশংসনীয়— উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, সব মিলিয়ে বির্তক নিয়ে ক্ষমতায় থাকা সরকার তার কাজের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে পিছিয়ে ছিল মানবাধিকার পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে।
তারা আরো বলেন, বিগত দিনের ভুল-ত্রুটি কাঁটিয়ে নতুন নির্বাচনী বছরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে চ্যালেঞ্জ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা।
নিজ দলের চেইন অব কমান্ড গড়ে তুলে অতীতের মতো শক্ত হাতে জঙ্গিবাদ দমন করে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন—এ প্রত্যাশা করে বিশ্লেষকরা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করে অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সারাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ১৪ দল ও মহাজোট শরিকদের নিয়ে গঠিত শেখ হাসিনার সরকারের বড় সফলতা।
তবে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে থাকার সমালোচনা রয়ে গেলেও শেষ একবছরে তা কাটিয়ে উঠে গণতন্ত্রের ধারাকে সরকার অব্যাহত রাখতে পারবে, এটাই প্রত্যাশা করেন সবাই।