ঝিনাইদহে এসপির কঠোর পদক্ষেপে এক বছরে ৮৯ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তি
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলায় এক বছরে ৮৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জব্দ সোনা আত্মসাৎ ও আটক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকায় জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরপরও জেলায় পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রবনতা কমছে না। পরিস্থিতি সামালও দেয়া যাচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এ বাহিনীর কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ওসি, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল-যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি জানান, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজার বিরুদ্ধে আনীত অনৈতিক কর্মকান্ডের তদন্ত চলছে। কয়েক মাস আগে তাকে বদলি করা হয়। আজবাহার আলীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অন্তত ৮৯ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ জনকে গুরুদন্ড এবং ৬৫ জনকে লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে। দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং কয়েক জনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। মহেশপুরে বাস ডাকাতিসহ দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই এসআইসহ আট সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুরুতর অপরাধ তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তদন্ত দলের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। জব্দ সোনা আত্মসাৎ, জেলা ডিবি পুলিশের আটক বাণিজ্যসহ গুরুতর কয়েকটি ঘটনার তদন্ত করছেন তারা। ৪ জানুয়ারি কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে মহেশপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে ৯ জানুয়ারি সংযুক্তি (ক্লোজড) করা হয়েছে।