হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা শীতের ব্যাপকতায় বাড়ছে শিশু রোগ !
অন্তু দাস হৃদয়, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলে শীতের ব্যাপকতায় বৃদ্ধি পেয়েছে শিশু রোগ। চলতি সপ্তাহের শীতে ইতি মধ্যেই নিমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ভর্তি হয়েছে ৭১ ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু সংখ্যা ৫৩ জন।
এ নিয়ে যেমন বিপাকে পড়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা, তেমনি ভোগান্তি সইছে রোগে আক্রান্ত শিশু অভিভাবকগণ।
জানা যায়, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ২ নং শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৩, নবজাতক বেড সংখ্যা ১০ ও স্ক্যানো বেড সংখ্যা ২০।
এ ছাড়াও ডায়েরিয়া শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১২। হাসপাতালের চিকিৎসক পদ ৫৭টি। তবে শূণ্য পদ ৯টি। এ ছাড়াও ডেপুটেশনে রয়েছেন ১২ জন চিকিৎসক।
এ নিয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সংখ্যা ৬০ জন। সেবিকা সংখ্যা ১৯০ জন। এর মধ্যে ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের সেবিকা সংখ্যা ৮জন।
সরেজমিনে, আজ (১২ জানুয়ারি) শুক্রবার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, ২ নং ওয়ার্ডের ১৩ বেডে ভর্তি রয়েছে নিমোনিয়ার ১১ শিশু, নবজাতক ১০ বেডে ভর্তি ১৫ শিশু রোগী, স্ক্যানো ওয়ার্ডে ২০ বেডে ভর্তি রয়েছে ১৮ শিশু আর ২/এ ওয়ার্ডে ২০ বেডের সব কয়টিতে ভর্তি রয়েছে ১-৫ বছরের শিশু।
এ ছাড়াও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের ১২ বেডে ভর্তি রয়েছে ৫৩ শিশু।
এ নিয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুর অভিভাবক পারভীন বেগম জানান, বুধবার দুপুরে তার ছেলে হঠাৎ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয় আর তিনি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুকে নিয়ে আসেন।
তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু বেড না থাকায় এ শীতের মধ্যেও তাকে এ ওয়ার্ডের ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে।
এ কারণে তিনিও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এ স্বত্তেও সন্তানের সুস্থতার জন্য তাকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালের এই ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে সব সময় রোগী সংখ্যা বেশী থাকলেও এখানে বেড ও সেবিকা সংখ্যা কম থাকায় চরম সমস্যা পড়ছেন এ ওয়ার্ডের রোগীরা।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাঃ সদর উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চিকিৎসাধীন রোগী সংখ্যা ৫’শ।
টাঙ্গাইল একটি বড় জেলা ও এর জনসংখ্যাও বেশী। এ কারণে হাসপাতালের রোগীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
তবে, এ স্বত্তেও হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সেবিকারা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।