যশোরের সাগরদাঁড়ীতে উদ্ভোদন হল মধুমেলা
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি :
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মভিটা কেশবপুরের সাগরদাঁড়ীতে শুরু হয়েছে মধুমেলা। চলবে এক সপ্তাহ।
শনিবার সন্ধায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করেন।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মনিরুল ইসলাম, কাজী নাবিল আহম্মেদ, রণজিৎকুমার রায়, স্বপন ভট্টাচার্য্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম।
মেলা উপলক্ষে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এলাকার ঘরে ঘরে ঘটবে অতিথি সমাগম। সেই আয়োজনই চলছে কৃষক পরিবারগুলোতে।
সাগরদাঁড়ীর পাশের গ্রাম আওয়ালগাঁতির তুহিন রেজা বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে আমার বোন-ভগ্নিপতিরা বেড়াতে আসছে।’
পৌরসভার ভবানীপুর গ্রামের গৃহবধূ শাহিদা সুলতানা জানান, তিনি তার বড় ভাই-ভাবীসহ ভাইপো-ভাইঝিদের দাওয়াত করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ২১ কেজি চালের গুঁড়া তৈরি করেছেন। খেজুরের রসে ভেজানো পিঠায় অতিথি আপ্যায়ন করবেন বলে তার ওই চালের গুঁড়া তৈরি বলে জানান।
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত জানান, মেলা উপলক্ষে এলাকাবাসীর ভেতর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সাগরদাঁড়ীসহ আশপাশের ইউনিয়নগুলোতেও চলছে নানা আয়োজন। বিশেষ করে খেজুরের রসে ভেজানো পিঠায় অতিথি আপ্যায়নে প্রস্তুতি নিয়ে চালের গুঁড়া তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গৃহবধূরা। গ্রামবাসী অতিথি আপ্যায়নে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন।
এবারের মেলায় কুটিরশিল্প, গ্রামীণ পসরা নিয়ে বসেছে বহু স্টল। পাশাপাশি সার্কাসের আয়োজন রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন মধুমঞ্চে আলোচনার পাশাপাশি নাটক, কবিতা আবৃতিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী।