জাতীয় জাদুঘরে লেখক ও গবেষক আবদুল মান্নান সৈয়দ স্মরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
এস এম আলমগীর কবির নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক ও গবেষক আবদুল মান্নান সৈয়দ এর স্মরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকালে বিশিষ্ট কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন লেখক ও সম্পাদক আবুল হাসনাত। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, লেখক যেভাবে তাঁর গবেষণাগুলো করতেন তা ছিল খুবই সুন্দর। সম্পাদনায় ও ছিলেন অতুলনীয়। তাকে হারানোর পর বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা আসলে অপূরণীয়। দায়িত্বশীলতার সাথে গবেষণা করার ব্যপারে তিনি অনুকরনীয় আদর্শ।
লেখক ও সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, কবি হিসেবে তিনি ছিলেন এদেশের একজন শীর্ষ কবি। গবেষণা ও সমালোচনা কে এমন এক পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে যা আর কেউ পারেনি। তার গবেষণা সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসাকে উস্কে দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যে তার প্রধান পরিচয় জীবনানন্দ গবেষক হিসেবে হলেও তিনি নজরুলের উপরেও গবেষণা করেন।
আলোচক বিশিষ্ট কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ‘স্বপ্নময় উৎসব’ শীর্ষক রচনা পাঠ করেন। এতে প্রারম্ভিক কালে আবদুল মান্নান সৈয়দের জীবনী জানতে পারা যায় তার প্রকাশিত প্রথম কবিতাপ্রন্থ জন্মন্ধ কবিতাগুচ্ছ, যার মাধ্যমে তিনি নতুন ভাবে কবিতাকে পাঠকের সামনে আনেন।
সভাপতির ভাষণে বিশিষ্ট কবি আসাদ চৌধুরী তিনি আবদুল মান্নান সৈয়দ এর ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করেন এবং তিনি জানান আবদুল মান্নান সৈয়দ প্রচুর তৎসম শব্দ ব্যবহার করতেন। বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি সমস্যা হচ্ছে নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিতে আমাদের মনে একটি সংকচবোধ হয় যা আবদুল মান্নান সৈয়দ-এর চোখে পড়ে। মান্নান সৈয়দ ছিলেন সাহিত্যের ঘোর লাগা মানুষ। তিনি আপাদমস্তক একজন কবি, সাহিত্যকর্মী।