পুলিশের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ওপর দলের কর্মীদের হামলার ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল রাতে রমনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
রমনা থানার ওসি মইনুল ইসলাম ও শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিরত করেছেন।
জানা গেছে, শাহবাগ থানার দুই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানে ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি কর্মীদের।
এ সময় তারা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর এবং তাদের গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র ভাঙচুর করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তার পাশে রাখা প্রিজন ভ্যানে আটক দুইজন বিএনপির কর্মী ইশারা দেয়। এ সময় উত্তেজিত কর্মীরা পুলিশ ভ্যানটির ওপর হামলা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ঘিরে কর্মীরা তাদের ওপর মারধর শুরু করে। ওই দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেয় তারা।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে তারা ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গুলশান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণের পর দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
খালেদা জিয়ার সাজার রায় হলে সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকিও দেন বিএনপির এ নেতা।
গভীর রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকেও শান্তিনগরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায়ও রাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।