জনগণের মঙ্গলের জন্য সংবিধান সংশোধনের বিধান আছে: রিজভী
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিএনপির দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই বলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ব্ক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ওই সময়ে (১৯৯৬ সাল) আপনি জ্বালাও-পোড়াও-ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেছিলেন- এটা তো (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) সংবিধানে ছিল না।
আর এখন আপনার সংবিধান কি পাললিক শিলা নাকি আগ্নেয় শিলা নাকি মেটামরফিক রক নাকি ভয়ংকর রূপান্তরিত শিলা যেটাকে নাড়ানো যায়, বা সরানো যায় না।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের জন্য, জনগণের পক্ষে, জনগণের মঙ্গলের জন্য সংবিধান সংশোধনের বিধান আছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কেন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সংবিধানে সংযোজন করতে ‘জ্বালাও-পোড়াও’ আন্দোলন করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করার পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি না মানায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।
এখন একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের দাবি তুললেও তার কোনো রূপরেখা এখনও দেয়নি দলটি।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের সময় গতবারের মতো ছোট সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিলে তা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় বিএনপি।
গতকাল সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এর জবাবে রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে কথাটা গতকাল সংসদে বলেছেন, এটা বাকশালী কথা, একদলীয় কথা। এটা হচ্ছে প্রভুত্বমূলক কথা, এটা হচ্ছে জনগণের ওপর একেবারে নিষ্ঠুরভাবে কর্তৃত্ব করার কথা।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রে সংবিধান জনগণের চাহিদা অনুযায়ী যুগে যুগে এটা সংশোধিত হয়ই। এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্রের সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
তিনি আরো বলেন, ভারত-জাপান বলুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলুন, পশ্চিমা দেশগুলোর কথা বলুন, প্রত্যেকটা দেশে সংবিধান সংশোধন হয়েছে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী।
জনগনের স্বার্থে নিরপক্ষেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যেভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায় তা করতে সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি জানান বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।
রিজভী বলেন, সহায়ক সরকারের মাধ্যমে সব দলের অংশ নিশ্চিত হবে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে, জনগণ আস্থা পাবে- ‘হ্যাঁ, আমার ভোট আমি দেব; এই ভোটটি অদৃশ্য হয়ে যাবে না সন্ত্রাস ও ভোট ডাকাতির কাছে’- এই নিশ্চয়তার জন্যই সহায়ক সরকার। সহায়তায় বিডি নিউজ।