রাখাইনে 'গণহত্যার আলামত' পাওয়া গেছে: ইয়াংহি লি
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংগঠিত সেনা অভিযানে 'গণহত্যার আলামত' পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ দূত ইয়াংহি লি। দিন দিন সেই আলামত স্পষ্ট হচ্ছে বলেও সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন তিনি। রাখাইনে নতুন পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরসহ বাংলাদেশের কোনো স্থানেই হামলা করবে না বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরসা।
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে গত ডিসেম্বরে মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি'র রাখাইন সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।
পরে জানুয়ারির শেষ দিকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের এই দূত। কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনাও শোনেন রোহিঙ্গাদের কাছে।
সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখার পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ দূত বলেন, নির্ভনযোগ্য কোনো আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়া পর্যন্ত তিনি গণহত্যার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তবে গণহত্যার আলামত ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ কারণে তাড়াহুড়া করে রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠানোর আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের এ দূত বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জাতিগত স্বীকৃতি আর নাগরিকত্ব নিশ্চিতই মূল বিবেচনায় রাখা উচিত।
বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানে নতুন পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিশ্বসংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, এমন খবর যাচাইয়ে এখন রাখাইনে জাতংসঘের প্রবেশের অনুমতি প্রয়োজন।
উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, মানবাধিকার হরণ এবং লঙ্ঘনে জাড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে সবার সহযোগিতাই একমাত্র লক্ষ্য। বিশ্বের জানা উচিত সেখানে কী ঘটছে।
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ফেব্রুয়ারিতে রাখাইন সফরে যেতে নিষেধ করছে মিয়ানমার। বিশ্বসংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে পরিদর্শনের প্রস্তাব পুরোপুরি নাকচ না করলেও নেপিদো বলছে, এখন সফরের উপযুক্ত সময় নয়। কুয়েতের আহ্বানে এ সফরটির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।