কালীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লোকমান হোসেন পনির, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
জম্মদিনে মেয়ের জন্য জুতা না আনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। বদমেজাজী স্বামী স্ত্রীকে চর থাপ্পড় মানায় স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার বাড়িতে। নিহত গৃহবধূ আম্বিয়া খাতুন (২০) একই ইউনিয়নের বিনিরাইল গ্রামের শামসুদ্দীনের মেয়ে। নিহত আম্বিয়ার গলায় দাগ পাওয়া গেছে সুরহতাল রিপোর্টে বলে জানান কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম।
ওসি (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আম্বিয়ার মেয়ের জম্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। শ^াশুড়িকে কেক আনতে বললে শ^াশড়ি জম্মদিনের কেক আনে। ঘুরতে যাবে বলে স্বামী তাদের জন্য জুতা না আনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। স্বামী চায়ের দোকানী মোবারক হোসেন তার স্ত্রীকে চর থাপ্পড় মেরে দোকানে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আম্বিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে আঁড়ার সাথে কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। শ^াশুড়ি দরজা ভেঙ্গে মই দিয়ে উঠে আঁড়ার সাথে তার ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৃহবধূ ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলে বলে জানা যায়। গতকাল শুক্রবার সুরহতাল রিপোর্টের পর তার মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে জাঙ্গালিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রেম করে আম্বিয়াকে কোর্ট ম্যারিজের মাধ্যমে বিয়ে করেন চায়ের দোকানী মোবারক হোসেন রাজন। বিয়ের পর থেকে দরিদ্র পিতার কন্যা আম্বিয়াকে তার শ^শুর বাড়ির লোকজন সহ্য করতে পারতো না। তাই কারণে অকারণে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শাশুড়ি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আম্বিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হলে হাসপাতালে মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যায়।