ছুটির দিনে রাজগঞ্জের ঝাঁপার বাওড়ে দেশের সর্ব বৃহৎ ভাসমান সেতু দেখতে উপছে পড়া ভিড়
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাওড়ে দেশের সর্ব বৃহৎ ভাসমান সেতু কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পিকনিক ভেনু। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেতু দেখতে এবং পিকনিক করতে দু’পাড়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী নারী পুরুষ ভীড় করছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে এবং পড়ন্ত বিকালে হাজার হাজার দর্শনার্থী সেতুর দিকে যেতে দেখা গেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যানবাহন যোগে সেতুটি দেখার জন্য তারা এসেছে। বাজারের মসজিদ ঘাটের উপরের মাঠে দর্শনার্থীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেলসহ হরেক রকমের বহু যান বাহন রেখেছে। দেখলে মনে হচ্ছে যেন রাজগঞ্জে নতুন স্টেশন তৈরি হয়েছে। একটু সামনে যেতেই শিশু, কিশোর ও নারী পুরুষের ভীড়। আরো সামনে চলছে সাদা পোশাকে সেতু পারাপারের টোল আদায়ের কাজ। সেখানে লোকের ভীড়ের সীমা নেই। পুরুষেরা ঠাসাঠাসি ও ঠেলাঠেলি করে আগে সেতুই যেতে পারলেও বিপাকে পড়ছে মহিলারা। আর যারা পরিবারসহ এসেছে, তাদেরকে সেতুই যেতে অনেকটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেতুর উপর উঠতেই শুরু হয় ঠেলাঠেলি ও ঘেসাঘেসি। সেতুর উপর এত বেশি পরিমান ভীড় যে এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত যেতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। কারন একদিকে সেতু দেখতে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থী অপরদিকে পথচারীদের পারাপার। তবে সেতুর উপর এত বেশি পরিমান ভীড় হওয়ার কারণ হিসাবে দেখা গেছে, অধিকাংশ দর্শনাথী নারী পুরুষ কিংবা পরিবারের সদস্যরা একসাথে মিলিত হয়ে সেতুর উপর দাড়িয়ে ছবি তোলাতে ব্যস্ত। আবার অনেক দর্শনার্থী সেতুর মাঝ পথের ওভার ব্রীজ স্থল উচু পেয়ে সেখানে দাড়িয়ে সেতুর এমাথা ওমাথা দেখার চেষ্টা করছে। যার কারনে সেতুর উপর এত বেশি ভীড় জমছে।
এদিকে বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পেতে ও ভাসমান সেতুতে নিরাপত্তা দিতে সেতু পরিচালনা কর্তৃপক্ষ, সেতুর বিভিন্ন স্থানে সাদা পোশাকে লোক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। সেতুতে উঠার পর দর্শনার্থীদের কোন প্রকার অসুবিধা হতেই দেখভাল করবেন তারা।
অপরদিকে দেশের দক্ষিন বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সেতু দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা সেতুর ছবি বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় দেখে আমরা অবাক হয়েছি। তাই সেতুটি দেখতে এসেছি। দেখে আমাদের খুবিই ভাল লেগেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা দেশের অনেক জায়গায় গিয়েছি। অনেক ব্রীজসহ নানান জিনিস দেখেছি কিন্তু এমন ভাসমান সেতু কোথাও দেখিনি। দেখে যেন মনটা ভরে গেছে। কলেজ পড়ুয়া কিছু দর্শানার্থীর সাথে কথা হলে তারা এক যোগে বলেন, দৃশ্যমান সেতু কত প্রকার তার সবগুলো দৃশ্যই এই ভসমান সেতুর মধ্যে রয়েছে। যা চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তারা আরো বলেন, এই সেতুটি যারা তৈরী করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই ।
এছাড়াও এই ভাসমান সেতু তৈরি হওয়ার পর থেকে এখানে ফুসকা, চটপটির দোকান, নাগর দোলা,চর্কা,বেলুন সুট, বাদাম ঝালমুড়ি দোকানসহ বিক্রয় হচ্ছে হরেক রকমের ফুল। যা এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে।