খালেদা ছাড়া নির্বাচন নয়: মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপাসন ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে যাবে না দল।
দলের মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
এ সময় আগামী নির্বাচনে সহায়ক সরকারের অধীনের দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তবে আজ কোনো নেতাকর্মীকে গআটক করতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
এ সময় নেতাকর্মীরা জানান খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
নেতারা বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনের কথা তারা চিন্তায় করতে পারছেন না।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে সকাল ১০টায় মানববন্ধনটি শুরু হয়। এক ঘন্টার এই মানববন্ধনে ২০ দলের নেতারাও অংশ নেন। এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নাল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এনি, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামান হয়দারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। মানববন্ধনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়ে হাত ধরে সচিবালয় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নেন।
এদিকে, কুমিল্লায় পেট্রোলবোমা হামলায় ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের করাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এ মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি ৫ জনকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। এছাড়াও প্রত্যেকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।