সৌম্য, মুশফিকের অর্ধশতকে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
দুই ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওপেনার সৌম্য সরকার (৫১) এবং মুশফিকুর রহিম (৬৬) এদিন ফিফটি পেয়েছেন। রিয়াদ করেন ৪৩।
সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারে ৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। এই সময়ে অভিষিক্ত তরুণ ব্যাটসম্যান জাকির শুধু সাজঘরে ফেরেন। জাকির ৯ বলে ১০ রান করে যান। সৌম্য অর্ধশতকে পৌঁছান ৩০ বলে। এটি তার টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। দুই বল বাদে লেগব্রেক বোলার জীবন মেন্ডিসকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবি হন। সৌম্যর ইনিংসে ছয়টি চার, দুটি ছয়ের মার ছিল।
হাথুরু দায়িত্ব ছাড়তেই দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য। গত বছরের টি-টুয়েন্টি ফর্ম বিবেচনায় দুই ম্যাচ সিরিজে দলে নেয়া হয়। মাঝের এই ‘ব্রেকে’ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেন।
গেল বছরে ওয়ানডে এবং টেস্টে সৌম্য ভাল করতে না পারলেও টি-টুয়েন্টিতে সতীর্থদের চেয়ে এগিয়ে। ৭ ম্যাচে ৩৩.৫৭ গড়ে ২৩৫ রান করেন। স্ট্রাইকরেট ১৫৬.৬৬।
ওপেনার জাকিরসহ মোট চারজনের এদিন অভিষেক হয়েছে। বাকি তিনজন আফিফ হোসেন, আরিফুল হক এবং নাজমুল অপু। শ্রীলঙ্কা দলে অভিষেক হয়েছে শেহান মাদুশাঙ্কার।
জাতীয় দলের অভিষেকে ক্রিকেটাররা স্বভাবতই নার্ভাস থাকেন। ২০ বছরের জাকির হাসানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুরু থেকেই বলের লাইন মিস করতে থাকেন। কিছুক্ষণ বাদে সিঙ্গেলে মন দেন। ‘সিনিয়র’ সঙ্গী সৌম্যকে বেশি বেশি স্ট্রাইক দিতে থাকেন।
কিন্তু জাকিরের যে ঝড় তোলা অভ্যাস। এই উইকেটে সৌম্যকে বড় বড় শট খেলতে দেখে নিজেও উৎসাহী হন। ৯ বলে ১০ রান করে ফিঙ্গার স্পিনার গুনাথিলাকাকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে বোল্ড হন। এর ভেতর একটি চারের মার ছিল।
জাকির ফেরার পর মুশফিকুর রহিম নেমেই বেশ তাড়াহুড়া করতে থাকেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে থিতু হন। এরপর আরেক অভিষিক্ত আফিফ দুই বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন।
দুই উইকেট হারানোর পর দলীয় সংগ্রহ বড় করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রিয়াদ এবং মুশফিক। দুজনে ৭৩ রানের জুটি গড়েন।
রিয়াদ ৩১ বলে দুই চার, দুই ছয়ে ৪৩ করে ফেরেন। মুশফিক ৪৪ বল খেলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। সাতটি চার, একটি ছয় হাঁকান তিনি।