ইতিহাস ‘ভাষা আন্দোলনে নারীদের অবদানের যোগ্য স্বীকৃতি দেয়নি
ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নারী সমাজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন রওশন আরা বাচ্চু। বহু প্রতিকূলতা ঠেলে সেসময় আন্দোলন-সংগ্রাম আর সাংগঠনিক কাজ করেছেন তিনি। এ ভাষাসংগ্রামী মনে করেন, ভাষা আন্দোলনে নারীদের অবদান ইতিহাসে যোগ্য স্বীকৃতি পায়নি।
ভাষা সংগ্রামী রওশন আরা বাচ্চু ১৯৫২’র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশস্থলের বাইরে ব্যারিকেড ভেঙে প্রথমে রাজপথে নামা আন্দোলনকারীদের অন্যতম। রক্ষনশীল পরিবারে জন্ম নেয়া এ নারী ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিসচেতন ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যুক্ত হন আন্দোলন কর্মসূচিতে।
২১শে ফেব্রুয়ারি সারাদিনের আন্দোলনের স্মৃতি আজও জ্বলজ্বলে রওশন আরা বাচ্চুর মনে। সুফিয়া খান, সারা তৈমুর, হালিমা খাতুন এবং রওশন জাহান হোসেনসহ আরও অনেক নারী সংগ্রামীর নাম ইতিহাসের পাতায় জায়গা না পাওয়ার দুঃখ প্রকাশ করেন এ ভাষাসংগ্রামী।
দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় থাকা ৮৬ বছর বয়সী রওশন আরা বাচ্চু ভাষা আন্দোলনে নারীদের শক্তিশালী ভূমিকা নিয়ে বই লিখছেন। সাহায্য, সহযোগিতা নয় তিনি চান যে ভাষার জন্য ভাষাসংগ্রামীরা প্রাণ দিয়েছিলেন সেই বাংলা ভাষা যাতে কোনোভাবেই বিকৃত না হয়।