রায়ের বিরুদ্ধে আপিল খালেদা জিয়ার
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আপিল গ্রহণ করা হবে কি-না সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। বিএনপি আইনজীবীদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এ আদেশ দেয়।
এর আগে ওই দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা আপিল দাখিল করেন। এদিকে, আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীরা।
গতকাল সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পায় খালেদার আইনজীবীরা। এর পরই আজ আপিল করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আপিল আবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
এর আগে সকাল ৯টায় এ ব্যাপারে হাইকোর্টে বৈঠকে করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বৈঠকে ছিলেন : সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, দুদক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাচঁ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পরই তাকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে কারাবন্দি রয়েছেন।আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পাওয়ার পর আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছেন খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবীরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিন করা হবে কিনা এ বিষয়ে দুপুরের মধ্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, খালেদা জিয়া জামিন আবেদন ও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তা মোকাবেলা প্রস্তুত বলে দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।