এতিমখানা তৈরি না করে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সেই টাকা লুটপাট করে খেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: ১৯৯১ সালে এতিমখানার জন্য টাকা এসেছে। কিন্তু এতিমখানার টাকার কোন খোঁজ নেই। এতিমখানা তৈরি না করে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সেই টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। ২৭ বছর পর এসে তারা এখন বলছে, সুদে-আসলে টাকা এখন দ্বিগুণ হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করবো তাদের তৈরি করা এতিমখানার ঠিকানা কোথায়?
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন: খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের পর বিএনপি নেতারা চোরের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে। পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে- এতিমির টাকা চুরি করো না, এতিমের ভাগ এতিমকে দাও। কিন্তু খালেদা জিয়া এতিমদের বঞ্চিত করে তাদের টাকা আত্মসাৎ করায় এখন তার শাস্তি পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন: বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে আসছি। ১৮০০ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ এখান থেকে সুবিধা পাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে ফাঁসানোর অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোন অনিয়ম তারা পায়নি। আমরা জনগনের জন্য কাজ করতে এসেছি, জনগণের টাকা কেড়ে খাওয়ার জন্য আসিনি।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী মেট্রোপলিটান পুলিশের (আরএমপি) ৮টি নতুন ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন বিভাগের ৮টি ভবন, ২টি বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের একটি সংযোগ সড়কের ফ্লাইওভার, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি রাবার বাঁধ, ২টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট, চারঘাট ও গোদাগাড়ী উপজেলার তিনটি সড়ক, পুঁঠিয়ায় একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রধানকে নতুন করে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
এছাড়া স্থানীয় অরাজনৈতিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ রাজশাহীর উন্নয়নে ১৭টি এবং রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও নাগরিক সমন্বয় কমিটিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৃথকভাবে নিজ নিজ দাবিনামা প্রস্তুত করে।
২০১১ সালে ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ রাজশাহী সফর করেন।