রুইলি ম্রো নারী জীবন কাহিনী।
চাইথোয়াইমং মারমা জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান ] শস্য শ্যামলা সবুজ পাহাড় ঘেরা প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র বান্দরবান জেলায় অর্ন্তগত লামা উপজেলাতে ৬নং রুপসী ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডে হেডম্যান পাড়া স্থানীয় বাসিন্দা হয়।সে হেডম্যান পাড়া দুর্গম এলাকায় অবস্থিত। সদর উপজেলা হতে সে গ্রামের পাড়া দুরুত্ন প্রায় ২০ কি:মি:। তাদের যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে কিছু পথ নৌকায় দিয়ে ও কিছু পাহাড়,টিলা,উপর পায়ে হেঁটে সদরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে অাসা যাওয়া করে থাকে। তাঁহার নাম রুইলি ম্রো (ডাক নাম বুংক্রুং মুরুং) স্বামী -উয়েতুই ম্রো, তাদের ৩ছেলে, ১. কালো ম্রো -১০বছর,২.খদুই ম্রো-১৬ বছর,৩.মেনপ্রে ম্রো-১২বছর। সর্ব শেষ মেয়ে -০১ জন, নাম- সংওয়াই ম্রো-১১ বছর। তিনি একজন খুবই হতদরিদ্র। তাদের একমাত্র পরিবারে অায়ের উৎস জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। তিনি একজন IEHFP দলের সদস্য হয়। সে স্যাপলিং প্রকল্পের ২০১৬ ইং সালে সদস্য অর্ন্তভূক্ত হন। স্বামী ও স্ত্রী দুজনে নিরক্ষর। পাশাপাশি ৪ সন্তান মধ্যে ১ ছেলে মেনপ্রে ম্রো ৩য় শ্রেনিতে অধ্যয়রনত। বাকি ৩ সন্তানরা অার্থিক অস্বচ্ছলতা জন্য লেখা পড়া হতে বঞ্চিত হয়। ম্রো অাদিবাসী সম্প্রদায়রা সাধারণ ৩টি ধর্ম পালন করে থাকে।যেমন- বৌদ্ধ ধর্ম,খ্রিস্টান ধর্ম,এবং গ্রামা ধর্মের নামে পালন করে থাকে। ম্রো সম্প্রদায়রা বেশির ভাগ দুর্গম পাহাড় টিলা বসবাস করতে পছন্দ করে থাকে। তারা সহজ সরল ও সত্য কথা বলতে পছন্দ করে থাকে।অধিকাংশ ম্রো জনগোষ্ঠীরা এখনো পযর্ন্ত বালায় ভাষা বলতে পারে না। ম্রো সম্প্রদায়রা বাঁশের বেঁতের তৈরি মাচাং ঘরে বসবাস করছে। তাদের জীবন মান বৈচিত্র দুরুহ অবস্থা দেখা যায়। স্যাপলিং প্রকল্পের সহায়তায় মধ্যে দিয়ে কিছুটা পরিবতর্নশীল দেখা যায়। উল্লেখ্য, স্যাপলিং প্রকল্পের হতে উন্নয়নের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান,যেমন -পুস্টিহীনতা রোধ,গর্ভবতী মা শিশু যত্ন সেবা,সহবিভিন্ন প্রাথমিক রোগের সাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, কৃষি উৎপাদনের বিভিন্ন বীজ প্রদান,প্রাকৃতিক দুর্যোগ বির্পযয় মোকাবেলায় শিক্ষা,প্রভৃতি। তিনি বর্তমানে নিজে সচেতন ও পরিবারে উন্নয়ন দিকে কিছুটা পরিবর্তন অানতে পেরেছি। তাঁহার বাড়ি অাঙিনায় অাশে পাশে বিভিন্ন শাকসবজিসহ চাষাবাদ উৎপাদন করে নিজের পরিবারে উপকৃত হয়। পরিবারে পুস্টিহীনতা রোগ হতে রক্ষা ও অায়ের উৎস বাড়ে স্বাভালম্ভী হয়। কিন্ত পূর্বে তাহার পরিবার পুস্টি বিষয়ক,খাবারে শাকসবজি কিছুই ধারণা ছিল না। ভূল ধ্যান্ত ধারণা কুসংস্কার অনেক দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে কিছুটা পরির্বতন দেখা যাচ্ছে। এই স্যাপলিং প্রকল্পের অধীনে নিয়োজিত পাড়া ভিক্তিক সিএইচডব্লিউ কর্মীরা উঠান বৈঠকে মাধ্যমে প্রাথমিক বিভিন্ন রোগের লক্ষন,পুস্টি শাকসবজি খাবারসহ পুস্টি বিভিন্ন ফলের উপকার পাওয়া যায় বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করছে। তিনি বলেন, স্যাপলিং প্রকল্পেরর কাছ হতে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি। বর্তমানে ৩ বেলায় পুস্টি খাবার খেতে পেরেছি। এই স্যাপলিং প্রকল্প অামার পরিবারকে অনেক উপকার করেছে।এই স্যাপলিং প্রকল্প পার্বত্য চট্রগাম বান্দরবান জেলা লামা উপজেলায় কার্য্যক্রম চালু না থাকত বিভিন্ন পুস্টিহীনতা রোগ এবং অায়ের উন্নয়ন দিক দিয়ে প্রতিটি পরিবার পিছিয়ে পড়বে। ম্রো সম্প্রদায় জীবন মান বৈচিত্র্য খুবই শোচনীয় অবস্থা দেখা যায়। কোন শাকসবজি ও কোন ফল হতে কি ভিটামিন পাওয়া যায় তারা কিছুই জানেনা। শিশুদেরকে তেমন টিকা অাওতায় নিয়ে অাসে না। ম্রো অাদিবাসীরা নিজের মাতৃভাষা কথা বলতে বেশি পছন্দ করে থাকে। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য পোষাক রয়েছে।তাদের সমাজের কুসংস্কার প্রচলন বেশি দেখা যাচছে। বর্তমানে অাসতে অাসতে অনেক পরির্বতন হয়ে অাসছে। ছোট বড় সবাই ঝুমে কাজ করতে দেখা যায়। অাদিকাল হতে ম্রোরা জুমচাষাবাদ করে অাসছে। বর্তমানে ও জুম চাষ করছে।বছরে ৩/৪ মাস জুমের ধান জমা থাকে। বাকি মাস গুলো কস্টের মধ্যে জীবন চালিয়ে যায়। এখন জুমে ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলজ বনজ চাষাবাষ করে দেখা যায়।এই স্যাপলিং প্রকল্প কাজ হতে অনেক কিছু বিভিন্ন অায়ের উৎস শিক্ষা গ্রহণ করেছি। এফএফরা মাঠে গিয়ে কৃষি উৎপাদন অায়ের বিষয়ক,স্বাস্থ্য বিষয়ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মোকাবেলা বিষয়ক ব্যাপারে উঠান বৈঠক মাধ্যমে সচেতন শিক্ষা দান।তিনি স্যাপলিং প্রকল্প কে ধন্যবাদজ্ঞাপন করছি। স্যাপলিং প্রকল্প কার্য্যক্রম অতুলনীয়। তাই স্যাপলিং প্রকল্প অনেক অবদান বেশি,রুইলি ম্রো বলেন,অায়ের উৎস বাড়াতে ও উন্নয়ন পথ প্রদর্শক এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই স্যাপলিং প্রকল্প প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি অারো বলেন,ভবিষ্যৎ তে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প টেকসই গতিশীল অারো অায়বর্ধক বৃদ্ধি পদ্বতি বাড়ানোর জন্য স্যাপলিং প্রকল্প কাছে প্রত্যাশায় রাখছি।