ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে আর কেউ কৃষকদের ঠকাতে পারবে না যে খবর আশা জাগায়, স্বপ্ন দেখায়
সারাদেশের কৃষকদের জন্য আশা জাগানিয়া খবর জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে আর কেউ কৃষকদের ঠকাতে পারবে না। এখন থেকে ঘরে বসেই কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য জানার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত কৃষিসেবা এবং কৃষিপণ্য ব্যবহারে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা পাবেন তারা। বুধবার ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষকবন্ধু ফোন সেবা’র উদ্বোধন করেছেন তিনি। এ বিষয়ে যা জানা গেছে তা হলো, ‘কৃষি বাতায়ন’-এর মাধ্যমে একজন কৃষক কৃষি বিষয়ক তথ্যভাণ্ডার থেকে সব ধরনের তথ্য পাবেন। আর কৃষি সম্পর্কিত যেকোন সমস্যা হলে ৩৩৩১ নম্বরে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গেই তার সমাধান পাবেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা দেবেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এর বাইরে অনগ্রসর কৃষকদের জন্য ‘সাথী’ নামের একটি অ্যাপ চালুর কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অ্যাপের মাধ্যমে সব রকমের তথ্য পাবেন কৃষক। আমরা বলতে পারি, এগুলো নিঃসন্দেহে ভালো এবং কার্যকর উদ্যোগ। কৃষক এর সুফল সরাসরি পাবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিভিন্ন সময়ে দেশের অর্থনীতিতে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত কৃষিখাতের নানা সমস্যা আর প্রতিবন্ধকতার খবর আমরা জেনেছি। সেখানে দেখেছি কৃষকদের জন্য সরকারের নিয়োগ দেওয়া কিছু কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি আর নানা অনিয়মের কথা। তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে অনেক কৃষকের পথে বসার খবরও নতুন কিছু নয়। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে বহু কৃষক তাদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। তবে এখন দিন বদলেছে। কৃষি ও কৃষকের দিকে আগের চেয়ে আরও বেশি নজর দিয়েছে সরকার। নানা উদ্যোগ নিয়ে তাদেরকে এই পেশায় রাখার প্রচেষ্টা রয়েছে। আমরা মনে করি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় অন্যতম ভূমিকা রাখা এসব কৃষকের জন্য সরকারের নতুন নতুন উদ্যোগ তাদেরকে উৎসাহ যোগাবে, অনুপ্রেরণার পথ দেখাবে। কৃষি ও কৃষকের জন্য নতুন এ উদ্যোগ সাধুবাদ পেতেই পারে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় বলতে চাই, কৃষকের ছেলে শিক্ষা নিয়ে আর কৃষিকাজে যাবে না, সেই মনোভাব যেন না থাকে। তবে বাবা মায়ের কাছ থেকে যে পেশা পাওয়া সেটাকে আরো আধুনিক করে তুলতে পারলেই দেশের উন্নয়ন হবে। তাই এদিকে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি নজর দিতে হবে।