সীমান্তরক্ষী পুলিশ বিজিপির টহল জোরদার করায় শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা ও এপারের সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশ বিজিপির টহল জোরদার করায় শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা ও এপারের সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তবে এপারে বাংলাদেশ বর্ডার গাড বিজিবি সর্তক অবস্থায় রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল।
গত বছরের ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংস ঘটনার পর বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। তবে কিছু কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ে এবং সেখানেই আশ্রয় শিবির তৈরি করে অবস্থান নেয় তারা। ইতোমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসলেও তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে অন্তত আরও সাড়ে ৫ হাজার রোহিঙ্গা রয়ে যায়।
এই অবস্থায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক রাখাইন রাজ্য সফর করেন ওই দেশের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সো। সফরকালে মিয়ানমারের তুমব্রু সীমান্তে এসে নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেন। নো-ম্যানস ল্যান্ডের এই ভূমি মিয়ানমারের দাবি করে উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বলেছেন, খুব দ্রুত সরে না গেলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। এরপর থেকেই সেখানে মাইকিং চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুধু রোহিঙ্গা নয়, মিয়ানমারের ওপারে মাইকিং করার কারণে এপারের স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝেও বিরাজ করছে আতংক।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশ বিজিপির টহল জোরদার করায় শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা ও এপারের সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে এপারে বাংলাদেশ বর্ডার গাড বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আব্দুল খালেক জানিয়েছেন।
তবে নো-ম্যানস ল্যান্ডে যে সব রোহিঙ্গা অবস্থান করছে তাদের প্রত্যাবাসনের প্রথম পর্যায়ে মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার কথা দিলেও কৌশলে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিতে এ অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সীমান্তে বসবাসকারীরা।