ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে(বিআইসিসি) আয়োজিত পাটপণ্য মেলা-২০১৮ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাটের তৈরি শাড়ি, গাউন, পাঞ্জাবি, পর্দা, বিছানার চাদর, জুতো, কুশন, মাদুরের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন রয়েছে তেমনই ঘর সাজানোর নান্দনিক সব পণ্য স্থান পেয়েছে পাটপণ্য মেলায়। রয়েছে সোফাসেট, টুল, ফুলদানি, স্কুলব্যাগ, পুতুল, ট্রলিসহ ২শ’ ৩৫ ধরনের পণ্য।
পাট দিয়ে কত ধরনের বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক পণ্য তৈরি হতে পারে তা দেখতে হলে ঘুরে আসতে হবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে(বিআইসিসি) আয়োজিত পাটপণ্য মেলা-২০১৮ তে।
মঙ্গলবার জাতীয় পাট দিবসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার-জেডিপিসি এই মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরী বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক সব পণ্য দেখে মুগ্ধ মেলায় আসা ক্রেতারা।
পাটের তৈরি চমৎকার এসব পণ্য দেখতে যেমন নান্দনিক তেমনই আরামদায়ক বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। স্টলে স্টলে ঘুরে চমৎকার সব পণ্য দেখছেন তারা।
মেলায় ১ শ’ জন উদ্যোক্তার ১৩৫ ধরনের পাটজাত পণ্য স্থান পেয়েছে। মেলার অন্যতম আকর্ষণ পাটের তৈরি রং-বেরঙের ফ্যাশনেবল ও বৈচিত্র্যময় জুতো। পাটপণ্য পচনশীল হওয়ায় ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা রয়েছে। পাটের তৈরি জুতো অনেক বেশী আরামদায়ক হওয়ায় বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে এসব জুতো।
বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটের তৈরি বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি পাটপণ্যে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়াতে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে পাটপণ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তারা।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার এর মার্কেটিং ডিরেক্টর অধরা বোস জানান, পাট দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য তৈরি এবং এসব পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এ ধরনের মেলার আয়োজন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। তিন দিনের বৈচিত্র্যময় এই পাটপণ্যের মেলা বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।