ব্যয় ছাড়ালো পদ্মাসেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা
পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়ালো। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এবার বরাদ্দ দেয়া হলো আরো এক হাজার চারশ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে একনেকে এ প্রকল্প পাস হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।মূলত নদী শাসন প্রকল্পের জন্য এ ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক। দেশের সবচে বড় এ প্রকল্পের বাজেট দাড়ালো ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩২৮ লাখ টাকা।
নদীতে দৃশ্যমান এখন পদ্মা সেতুর ৪টি স্প্যান। কোটি মানুষের স্বপ্নকে বুকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্প।
শুরুতে ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে নকশা পরিবর্তন করে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সালে এ প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৬ সালে বাড়ানো হয় আরেক দফা। এবার বরাদ্দ দাড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার পাস করা হয় আরো ১ হাজার ৪শ কোটি টাকা।
আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, রিভার ম্যানেজমেন্ট যখন করব তখন অনেক মাটি এক্সট্র্যাক্ট করতে হবে। তাই এ জায়গাটি আমরা ২৫ বছরের জন্য নিয়েছি।
মূলত নদী শাসনের জন্য অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহন করতে এ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মূল ডিপিপিতে ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনের কথা। কিন্তু নদী থেকে যে বালি তোলা হচ্ছে তা পরিবেশগত নীতিমালা মেনে নদীতে না ফেলে অন্যত্র জমিয়ে রাখার জন্য অতিরিক্ত এ ভূমি প্রয়োজন হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।শফিকুল ইসলাম (প্রকল্প পরিচালক, পদ্মা বহুমুখী সেতু) বলেন, নদী শাসনের কাজেই ২৫০ কোটি সিএফটি মাটি এক্সট্র্যাক্ট করতে হবে, এটা আমরা নদীতে ফেলতে চাই না।
এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে মূল প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে মেয়াদ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।