কীভাবে হারতে হয় দেখিয়ে দিলো,আর্জেন্টিনা
আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে একটি পেনাল্টি পুরস্কার পেয়েছিলো আর্জেন্টিনা। লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে দেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা লিওনেল মেসি। সে পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেমেছিলো বাঁচা-মরার ম্যাচে।অথচ এ ম্যাচে আরও বড় নাটক দেখলো আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য কাটার পর ৫২ মিনিটে ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মার্কাদোর ব্যাকপাস দৃষ্টিকটুভাবে মিসটাইমিং হয় গোলকিপার উইলি ক্যাবেলারোর পায়ে। অনেকটাই এমন যে, গোল করার জন্য ক্রোয়েট ফরোয়ার্ড রেবিসের কাছে বলটি সুন্দর করে তুলে দেন তিনি। গোল করার অনুশীলনটাও বেশ ভালোই করে নেন রেবিস। দারুণ ভলিতে ঝড়ের বেগে বল জালে জড়িয়ে এগিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়াকে। প্রথম গোল হজম করার পর গ্যালারির বিষন্নতা মাঠেও ভর করে। মিস আর ভুল পাসে ভরা মেসিরা বাকি আত্মবিশ্বাসটুকুও হারিয়ে ফেলে।
ফলাফল ৩-০ গোলের বড় হারের লজ্জা নিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা জোরালো করে আর্জেন্টাইনরা।
৫১ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নেয়া আগুয়েরোর শট সরাসরি গোলরক্ষক সুবাসিচের গ্লভসে চলে যায়। ৬৩ মিনিটে হিগুয়েনের ক্রস থেকে সহজ বলটি জালে জড়াতে ব্যর্থ হন মেজা।
৬৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার বক্সের মধ্য বল পেয়ে যান মানজুকিচ। তবে সময় মতো গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো তাকে ব্লক না করলে ব্যবধান বাড়তে পারতো।
৬৭ মিনিটে এনজো পেরেজকে তুলে নিয়ে তার জায়গায় নামানো হয় পাওলো দিবালাকে।
৮০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া লুকা মডরিচের জোরালো শট বার ঘেঁষে জলে প্রবেশ করে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
৮৬ মিনিটে রাকিটিচের ফ্রি কি বারে লেগে ফিরে না আসলে ব্যাবধান আরও বড় হতো। ৯০ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে নেয়া মেজার শটটি জটলায় ঠেকে না গেলে ব্যাবধান কমতে পারতো আর্জেন্টিনার।
যোগ করা সময়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্স নিয়ে অনেকটা ছেলেখেলা করেই সহজ গোলটি আদায় করে নেন ইভান রাকিটিচ।