উলাপাড়ায় পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি অর্ধেক জমিতে আবার ভারতীয় জাত
সাহারুল হক সাচ্চু, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি 4TV
সিরাজগঞ্জের উলাপাড়ায় এবারে পাট চাষে সরকারী লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি থাকছে। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সাড়ে ৫৭ ভাগ জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আবার অর্ধেক জমিতে ভারতীয় কেনাফ (আসমান তারা) জাতের পাট চাষ হয়েছে। গত বছর পাট চাষ করা হয়েছিলো মাঠের পর মাঠ জুড়ে এমন সব জমি কৃষকেরা এবারে পাট চাষ না করে পতিত রেখেছে। ঘনঘন বৃষ্টিপাত ও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ করেনি বলে জানানো হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে, এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় ২ হাজার ৭শ হেক্টর পরিমান জমিতে পাট চাষের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল। সেখানে মোট ১ হাজার ৫শ হেক্টর পরিমান জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮শ ৫০ হেক্টরের ভারতীয় কেনাফ জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। বাকী ৫শ হেক্টরের তোষা ও ১শ ৫০ হেক্টরে দেশী জাতের পাট চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, অনেক মাঠেই আগাম করে আবাদের ইরি ধান কেটেই সে সব জমিতে পাট চাষ করা হতো। বিগত ক’বছর এভাবে চাষ করা হলেও এবারে বেশিরভাগ জমি পতিত রয়েছে। বেশ ক’জন কৃষকের বক্তব্যে গত বছর তারা পাটের আশানুরুপ দাম পাইনি। এ ছাড়া পাট বীজ বপন মৌসুমে ঘনঘন বৃষ্টিপাতে পাট চাষ করতে পারিনি। আগাম করে রোপা আমন ধানের আবাদ করবে ভেবেই জমি পতিত রেখেছে।
নাগরৌহা গ্রামের কৃষক মোঃ করিম মিয়া জানান, গত বছর তিনি প্রায় ১৭ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলেন। বেশ ভাল হারে ফলনও মিলে ছিলো তার হিসেবে পাটের আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার মাত্র আড়াই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খিজির হোসেন প্রামানিক জানান, ঘন ঘন বৃষ্টিপাতে এবারে কৃষকেরা পাট চাষ করতে না পারায় লক্ষ্যমাত্রা পুরুণ হয়নি। তিনি জানান, পতিত রাখা জমিতে আগাম করে ধান ও রবি ফসলের চাষে পরিকল্পনা করে ইতিমধ্যেই কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।