৭ গোলের ম্যাচ জিতে নক আউটে বেলজিয়াম
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পানামার বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছিল বেলজিয়াম। আজ শনিবার (২৩ জুন) তিউনিসিয়ার জালে গোলের বড়সড় মহড়া সেরে নিল রোমেলু লুকাকু, ইডেন হ্যাজার্ডরা।৫-২ গোলের বড় জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করল বেলজিয়াম। একইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল তিউনিসিয়ার বিদায়। পানামার বিপক্ষে ম্যাচটি তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকল আফ্রিকার দলটির।
খেলার মাত্র ৫ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় বেলজিয়াম। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইডেন হ্যাজার্ড।
১২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে রোমেলু লুকাকুর বাড়ানো বল বক্সে ভেতরে পেয়ে যান ইডেন হ্যাজার্ড। তবে, বলে-বুটে টাইমিং না হওয়ায় সহজ বলটি গ্লাভসবন্দ্বী করতে বেগ পেতে হয়নি তিউনিসিয়া গোলরক্ষক বেন মুস্তাফার।
১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রোমেলু লুকাকু। মার্টিনসের বাড়ানো বল ধরে বক্সের বাম পাশ থেকে দারুণ শটে বল জালে জড়ান।
দুই মিনিট পরেই ব্যবধান কমায় তিউনিসিয়া। খাজরির ফ্রিকে চমৎকার হেডে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক কৌরটৌসকে। ১৯ মিনিটে কারেসকোর জোরালো শট রুখে দেন বেন মুস্তফা। ২০ মিনিটে তিউনিসিয়ার বক্সের বাইরে থেকে আলডেরউইরেল্ডকের শট পোস্টে পাশ ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।৩০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল তিউনিসিয়া। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া সাসির দুর্বল শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকু। ব্রুইনের মাটি কামড়ানো ক্রসে পা ঠেকাতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে পরের মিনিটেই মিউনিয়েরের সহায়তায় দারুণ চিপে গোল কিপার বেন মুস্তাফাকে বোকা বানান লুকাকু। রাশিয়া বিশ্বকাপে এটা তার চতুর্থ গোল।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের খেলায় প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু ভালো আক্রমণ করে তিউনিসিয়া। তবে ফিনিশিংটা ইতিবাচক হয়নি। স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের ক্ষুধা কমেনি বেলজিয়ামের। ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কোর ৪-১ করেন হ্যাজার্ড।
৬৮ মিনিটে হ্যাজার্ডের বদলি হিসেবে নামেন মিচে বাতসুইয়া। নেমেই দারুণ প্রদর্শনী দেখান তিনি।
৭৫ মিনিটে গোলরক্ষক বেন মুস্তাফাকে কাটি নিয়ে গেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন মিচে বাতসুইয়া। পেছন থেকে এসে তার দুর্বল শটটি ঠেকি দেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন মারিয়াহ। ৭৯ মিনিটে আরও একবার হতাশায় পুড়েন বাতসুইয়া। পোস্টের কাছ থেকে নেয়া শট উপরের বারে লেগে ফিরে আসে।
শেষ পর্যন্ত তাকে রুখতে পারেনি তিউনিসিয়ান ডিফেন্স। ৯০ মিনিটে স্কোর ৫-১ করেন মাতসুইয়া। যোগ করা সময়ে খাজরির গোলটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।