জাপানকে হতাশ করে শেষ আটে বেলজিয়াম
২২ ম্যাচে অপরাজিত। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলম্বিয়াকে এড়িয়েছে। শেষ আটে জাপানকে পেয়ে তাই স্বস্তিতেই ছিলো বেলমিয়াম। অথচ এই জাপানেই হয়ে গেলো তাদের সবচেয়ে অস্বস্তির কারণ।প্রথমার্ধ সমতায় শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধের ২৬ মিনিটের মধ্যে ঘটে গেলো ৪ গোলের নাটক। পরাক্রমশলী বেলজিয়ামের জালে পরপর ২ গোল পুরে দিয়ে প্রথমবারের মতো শেষ আটে উঠার স্বপ্ন দেখে জাপান। তবে বেলজিয়াম দেখিয়ে দিলো কেন তারা ফেভারিট। ২ গোল শোধ তো করলোই, যোগ করা সময়ে এক গোল করে জায়গা করে নিলো কোয়ার্টার ফাইনালে।
পুরো ম্যাচে আত্মবিশ্বে ভাসছিলো জাপান। খেলা দেখে সেটা বুঝাই গেছে। পরিচ্ছন্ন পাস, বলের দখল এবং গোছালো আক্রমণগুলো দেখে বুঝার উপায় ছিলো না, বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলছে জাপান। বেলজিয়ান তারকা গোলরক্ষক কৌরটোসকে দিতে হয়েছে একের পর এক অগ্নিপরীক্ষা। অপরদিকে রোমেলু লুকাকা, ইডেন হ্যাজার্ডরা যে প্রতিপক্ষে ডিফেন্সকে এফোড় ওফোড় করবেন সেটা তো অনুমেয়ই। হয়েছেও তাই।
৪৮ মিনিটে হারাগুসির গোলের পর ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনুই। স্বপ্নভঙ্গের ভয়টাকেই শক্তিতে পরিণত করে বেলজিয়াম। একের পর এক আক্রমণ হানতে থাকে জাপানের রক্ষণে। ৬৯ মিনিটে ভারটংহানের গোলে ব্যবধান কমে। ৭৪ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে সমতায় ফেরান বদলি হিসেবে নামা ফেলাইনি।
চরম উত্তেজনার ম্যাচের সমাধানটা আছে অতিরিক্ত সময়ে চাদলির গোলে। ২-৩ ব্যবধানে জয় নিয়ে শেষ আটে উঠে গেলো বেলজিয়াম।