শার্শা ও ঝিকরগাছায় থাই পেয়ারা চাষে স্বাবলম্বী চাষীরা
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি 4TV
যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় থাই পেয়ারার চাষ করে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। থাই পেয়ারার চাষে চাষীরা এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে ২০০ জন সাধারন মানুষ নিজের ছেলে মেয়েকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করছে বলে জানান তারা।
শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়েছে। শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় বর্তমানে যে সমস্ত চাষীরা থাই পেয়ারার চাষ করে লাভবান বা স্বাবলম্বী হয়েছেন তাদের অনুসরণ করে থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন আরও কয়েকশ” চাষী।
এমনি একজন শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়ন সমন্ধকাঠী গ্রামে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজু আহম্মেদ।প্রায় দেড় বছর হয়েছে তার থাই পেয়ারার চাষ এবং বেশ লাভবান হয়েছেন সেই চাষে।
উলাশী ইউনিয়নের সম্বন্ধকাঠী গ্রামের রাজু আহম্মেদ বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছেন। অন্যান্য কৃষি কাজ করে তেমন কোন আর্থিক উন্নতি করতে পারেনি। উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে থাই পেয়ারার চাষ শুরু করেছেন। নিজের ৩ বিঘা জমি আছে প্রথমে দেড় বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করে বিগত দিনের ধার-দেনা পরিশোধ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। সংসারের সমস্ত খরচ চালিয়ে তিনি এখন নগদ টাকা জমাতে শুরু করেছেন।
রাজু আরো বলেন, প্রথমে আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো আস্তে আস্তে আমার জিবন পাল্টাতে শুরু করে এখন আমি আরো ১০ বিঘা জমি কিনেছি আমার সব জমিতে পেয়ারা চাষ করবো।
ঝিকরগাছার কুলবাড়ীয়া গ্রামের মাওলানা রুহুলামিনের ছেলে সিরাজুম মনির পাশ্ববর্তী এক চাষীর কাছে থাই পেয়ারা চাষে লাভবানের কথা শুনে প্রথম পর্যায়ে তার আড়াই বিঘা জমিতে পেয়ারার চাষ শুরু করেছিলেন।খরচ শেষে সিরাজুম এখন লাভের প্রহর গুনছেন। পাশাপাশি এরকম লাভ থাকলে আরো বেশি জমিতে পেয়ারার চাষ করবেন বলে জানান তিনি জানান।