একটি বসত ঘর গোটা পরিবারকে করছে খুশি
সাহারুল হক সাচ্চু উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধিঃ
একটি বসতঘর গোটা পরিবারকে খুশি করেছে। সবার মুখে হাসি মনে আনন্দ এনে দিয়েছে। এতদিন জমি ছিলো। তবে বসবাসে নিরাপদ তেমন ঘর দরজা ছিলো না। এখন তা হয়েছে। এর জন্য কোন টাকা খরচ করতে হয়নি। একেবারে বিনে টাকায় সেমি পাকা বসতঘর হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার শ’শ’ পরিবার এমন ঘর পেয়েছে। আরো পরিবার পাচ্ছে। এ প্রকল্পে আরো ঘর নির্মাণ কাজ চলমান আছে বলে জানা যায়। সিরাজগঞ্জের উলাপাড়া উপজেলার ১৪ টির মধ্যে ১৩ টি ইউনিয়নে ২শ পরিবারকে এ ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উলাপাড়ার বড়হর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ২৫টি আর উধুনিয়া ও সলপ ইউনিয়নে ৮টি করে ঘর বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া হাটিকুমরুলে ১০টি, সলঙ্গায় ১১টি, রামকৃষ্ণপুরে ১০টি, বাঙ্গালায় ৯টি, পঞ্চক্রোশীতে ২৪টি, মোহনপুরে ২০টি, বড়পাঙ্গাশীতে ১৪টি, দুর্গানগরে ২৪টি, সদর উলাপাড়ায় ১৯টি ও পুর্ণিমাগাতীতে ১৮টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের মেঝে পাকা এবং টিনের চাল ও বেড়া নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এর সাথে একটি করে টয়লেট নির্মান করে দেওয়া হচ্ছে। বড়হর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের পুর্বদেলুয়া গ্রামের চন্ডিচরণ গোস্বামী ও রুবেল মিয়া এ ঘর পেয়েছেন। রুবেল মিয়া জানান, তিনি একজন শ্রমিক। এতদিন ভাল কোন বসতঘর ছিলো না । তার নিজের চার শতক ভিটেতে এ ঘর করে দেওয়ায় তিনি খুবই খুশি হয়েছেন। চন্ডিচরন গোস্বামীর স্ত্রী স্বপ্না রাণীর জানান, তাদের নিজস্ব মাত্র ২ শতক ভিটে বাড়ী আছে। সেখানেই ঘরটি করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত হয়েছেন। বড়হর ইউনিয়নের পাগলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০ বছর বয়সি প্রতিবন্ধি সোহাগী খাতুন এ ঘর পেয়েছে। সে নতুন ঘরে বসবাস করছে। উলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, এ ঘর যারা পাচ্ছেন তাদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হচ্ছে। যাদের জমি আছে ঘর নেই এমন ব্যক্তিদেরকেই এ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্র“তি মোতাবেক আগামীতে কেউ আর ঘর হীন থাকবে না।