গাংনীর পল্লীতে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
এম এ লিংকন,মেহেরপুর 4TV
মেহেরপুরের গাংনীর উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামে প্রতিবন্ধীদের সরকারি ভাতা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে এ উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে সেন্টার পাড়া, মাঠ পাড়া সহ ঐ এলাকার কয়েকটি প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছ থেকে সরকারি ভাতা’র কার্ড করে দেওয়ার নামে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানালেন সেখানকার ভুক্তোভোগি কয়েকটি পরিবার। এরই মধ্যে ঐ এলাকার মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী বৃষ্টির মা মোছাঃ ববিতা খাতুন জানান, আমাদের কাছে মহিলা মেম্বর বুলু প্রথমে এসে ছবি সহ ২শ’ টাকা নিয়ে যায়। কিছু দিন পরে এসে সে ৫ হাজার টাকা দাবি করে, সে সময় তাকে ২৫শ’ টাকা দেওয়া হয় এবং কার্ড হলে বাকি টাকা দেওয়া হবে বললে সে চলে যায়। কিন্ত ৭ থেকে ৮ মাস পার হলেও এ পর্যন্ত সে কার্ড করে দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি। এদিকে ঐ এলাকার আরো কয়েকজন জানিয়েছেন তাদের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা করে দাবি করেছে যে টাকা দিয়েছে তার কার্ড হয়েছে যে দিতে পারেনি তার কার্ড হয়নি। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বর্তমান সরকার ২ লক্ষ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ভাতা ব্যাবস্থা করেন তাতে সেই অর্থ বছরে সরকার বরাদ্দ রাখে ৬০ কোটি টাকা। নির্বাচিত প্রতিবন্ধীদের মাসে ২শ’৫০ টাকা করে প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে টাকার পরিমান বাড়িয়ে জন প্রতি মাসে ৭শ’ টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কার্ড করে দেওয়ার জন্য অর্থ দাবির বিষয়টি মেম্বর দিল আফরোজ বুলু অস্বীকার করলেও ঐ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান টাকা না দিলে বুলু মেম্বর কোন প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিতে চান না। ঐ গ্রামের সাহেদুল এর ছেলে প্রতিবন্ধী ছেলে বাচ্চুর জন্য কার্ড করতে চাইলে বুলু মেম্বর টাকা দাবি করে। যে কারণে তিনি টাকাও দিতে পারেননি তার কার্ডও করা হয়নি। এছাড়াও ঐ এলাকার মৃত রাহেত মোল্লার ছেলে ইনামুল জানান আমার কোমর ও পায়ের জন্য কাজ করতে পারি না যে কারণে একটি কার্ড করার জন্য বুলু মেম্বরের কাছে গেলে সে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে,টাকা দিতে না পারায় আমার কার্ড হয়নি। হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি দিল আফরোজ বুলু মেম্বরের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেন। দিল আফরোজ বুলু মেম্বরের কাছে একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই আমি বছরে একটি প্রজেক্ট পাইনি বলে সে সাংবাদিকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে চাই এবং পত্রিকায় খবর প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রতিবন্ধীদের কার্ড করার জন্য সরকারকে কোন প্রকার টাকা দিতে হয় না। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ তৌফিকুর রহমানের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। গাংনী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বিষ্ণুপদ পাল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিবন্ধীদের কার্ড করার জন্য যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে এবং এ বিষয়ে অভিযোগ আসলে তা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।