শার্শা পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের বিষয় প্রমান পাওয়া গেছে
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হলেও অদ্যবধি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ০৪ বছর অতিবাহিত হতে চললেও কারও কোন উচ্চ বাচ্চ নেই।
দায় সারা ও গোজামিল দিয়ে চলছে শার্শা পাইলট হাই স্কুলের কর্মকান্ড। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ড ও বেইনবেইজ কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিও ভুক্তি হয়।
এরপর থেকে লাগামহীন দুর্নীতি, ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ আত্নসাত বিদ্যালয়ের অব্যবহারিত নতুন ও পুরাতন বোর্ডের বই খাতা বিক্রয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আইনের শাষন ও প্রয়োগ না থাকায় হাতে নাতে একাধীক ঘটনা ধরা পড়লেও পার পেয়ে যাচ্ছে ঐ দূর্নীতিবাজ শিক্ষক। একাধিক পত্রিকায় এ ব্যপারে সংবাদ প্রকাশের পর তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলম সার্টিফিকেট জালিয়াতি সহ অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়টি তদন্তে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)র মধ্যমে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসারকে ৪৭ ফর্দ্দের তদন্তে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
যাহার স্মারক নং ০৫.৪৪.৪১০০.০৮.০১.০১৩.২০১৫-(
বিশিষ্টজনেরা বলছেন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় বিদ্যালয়ে পরিবেশ কলুশিতসহ ঘটতেপারে অনাকাক্ষিত ঘটনা। এছাড়া ঐ দূর্নীতিবাজ শিক্ষক গত ২৯ শে মে ২০১৮ তারিখে স্কুল বন্ধের দিনে বিদ্যালয় পরিচলানা পর্ষদ ও শিক্ষকদের কাউকে না জানিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নতুন ও পুরাতন পাঠ্য বই ও খাতা বিক্রয় কালে স্থানীয় অভিভাবকদের হাতে নাতে ধরা পড়ে। আলমসাধু গাড়ি যোগে পাঠ্য বই ও খাতা নিয়ে যাওয়ার সময় নাভারন পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট পলিটন মিয়া হাইওয়ে সড়ক থেকে জব্দ করেন।
যা ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসনের তদন্তনাধিন রয়েছে। প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবৈধ ভাবে নিয়োগের পর থেকে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ তোসরুপ নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সনদ বিক্রয়, প্রশাংসা পত্র বিক্রয়, পরীক্ষার ফিস এর টাকা ও সরকারী বিধি উপেক্ষা করে স্কুলে গাইড বই বিক্রয় করে আত্নসাত করেন। যা বিগত ২০১৪ ইং সালে বিদ্যালয়ের আভ্যান্তিরীন অডিটে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আত্নসাতের বিষয়টি উঠে আসে। আজও তার কোন সুরাহা হয়নি। ইতি মধ্যে শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারী করনের সকল কর্মকান্ড সম্পন্ন হয়েছে।
বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ হলে শিক্ষার পরিবেশ ও গুনগতমান বৃদ্ধি করতে হলে অচিরেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান চৌধুরী এক সাক্ষাতকারে বলেন শার্শা পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তধীন আছে। এবং শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্য বই ও নতুন-পুরাতন খাতা বিক্রয়ের বিষয়টি তদন্ত সম্পন্ন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।