কালিয়ায় তিন বছরেও কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি, শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ চরমে
এস এম আলমগীর কবির নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক এক কোটি টাকার বেশী ব্যয়ে নির্মানাধিন নড়াইলের কালিয়ার ‘পিরোলী হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক’ কলেজের দ্বিতল ভবনের নির্মান কাজ গত তিন বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের পড়েছেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ওই কলেজটির শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ ও পাঠদানের স্থান সংকুলানের জন্য ২০১৫ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যায়ে কলেজটিতে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। যথারীতি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নূর কনস্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী কার্যাদেশ দিলে ওই বছরের ৩১ মার্চ তারা ভবনটির নির্মানের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর দিন থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও গত তিন বছরেও ভবনটির নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. ইমরানুল হক মিশা মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি নিয়ম নীতির বালাই না করে ঠিকাদার ভবনটির নির্মান কাজ বছরের পর বছর ফেলে রাখার কারণে কলেজটিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের গাফিলতি এবং উদাসিনতার কারণে গত তিন বছরেও ভবনটির নির্মান কাজ শেষ হয়নি।’ কলেজের অধ্যক্ষ আবুরেজা মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই ভবন নির্মাণের প্রকৃত ঠিকাদার কে তা জানেন না। তবে কামরুল ইসলাম নামে একজন নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে এসে থাকেন। নির্মাণ কাজ শেষ করতে তাকে তিনি বহুবার তাগিদ দিয়েছেন। এমনকি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীকেও ফোনে বহু বার কলেজের দুরাবস্থার কথা জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস রুমের আভাবে পাঠদানের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
নূর কনস্ট্রাকশনের মালিক নূর মহম্মাদের সঙ্গে মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে কাজটি বরাদ্দ থাকলেও কামরুল ইসলাম কাজটি করছেন। ভবনটির নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।’
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহিদী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই ভবন নির্মাণে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে ঠিকাদারকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজেনে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’