বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে’ ‘গুপ্তধনের ব্যাপারে
রাজধানীর মিরপুরে একটি বাড়িতে গুপ্তধন আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে চলা অভিযান ৬ ঘণ্টা পর স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ দলের মতামত নিয়ে আবারো অভিযান চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, পুলিশ বলছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কেউ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মিরপুরের এই বাসায় গুপ্তধন আছে অনেকদিন ধরেই এমন গুঞ্জন ছিল এলাকাবাসীর মধ্যে। এমন খবরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তার জন্য গত ১৪ জুলাই মিরপুর থানায় একটি জিডি করেন বাড়ির মালিক মনিরুল আলম। এরপরই বাড়িটিতে বসানো হয় পুলিশ পাহারা।
বাড়ির মালিক জানান, তিনি নিজে কোনো গুপ্তধন দেখেননি। স্থানীয়দের কাছে শুনেই অভিযোগ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কাছে।
বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কথা ছড়িয়েছিল যে, এই বাসার নিচে গুপ্তধন আছে। যেহেতু এখানে গুপ্তধন আছে বলে প্রচার হচ্ছে, তাই এটা একতা সেনসিটিভ ইস্যু। এ কারণেই পুলিশকে জানানো।’
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শুরু হয় গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান। এতে সহায়তা করে মিরপুর থানা পুলিশ।
দুটি ঘরের মেঝেতে প্রায় সাড়ে ৪ ইঞ্চি খননের পর দেয়াল ধসের আশঙ্কায় (৬ ঘণ্টা পর) অভিযান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, বিশেষজ্ঞ দলের মতামত নিয়ে পরবর্তীতে আবার শুরু হবে অভিযান।
ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘এ বিল্ডিংটা অনেক দুর্বল কাঠামোর ওপর রয়েছে। যেকোনো সময় এর দেয়াল ধসে পড়তে পারে। এ কারণে আজকের মতো স্থগিত করা হয়েছে। এরপরে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এনে তার মতামত অনুযায়ী কাজ করা হবে।’
এদিকে, মিরপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযোগকারীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
মিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাদন ফকির বলেন, ‘বাড়ির যে মালিক সে নিজেই আমাদের জানিয়েছেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে উনিই লিখিতভাবে জানিয়েছেন, এখানে খনন করার জন্য। যে আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন, তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।’
উদ্ধার অভিযান দেখতে সকাল থেকেই বাড়িটির সামনে ভিড় করেন উৎসুক আশপাশের লোকজন। এ কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় বাসার সামনের সড়ক।