উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ করে ফুঁসে উঠেছে পদ্মা।
প্রতিদিনই পানি হু হু করে বাড়ায় এখন টইটুম্বর প্রমত্তা এই নদী। ফলে প্রবল স্রোতে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। এছাড়া রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও গোদাগাড়ি উপজেলার নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় এরইমধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে বসতভিটা, আবাদি জমি ও চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ অবস্থায় একদিকে যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম, অন্যদিকে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ।
পদ্মা পাড়ের মানুষরা বলছেন, 'রাতে ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ দেখলাম বাড়িঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। দ্রুত আমাদের স্কুল সরিয়ে নিতে পারলে পড়াশোনা আবার শুরু করানো যাবে। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।'
এ অবস্থায় ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে নদী শাসনের পাশাপাশি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান পদ্মা পাড়ের মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
রাজশাহীর চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাঘার চেয়ারম্যান মো. আজিজুল আজম বলেন, 'সরকারের কাছে দাবি রাখি, দ্রুত এই চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অবশ্যই নদী শাসন করা দরকার।'
তবে শিগগিরই বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে পাঠদান শুরু করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, 'যেখানে নদী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা কম থাকবে সেখানে বিদ্যালয়টি করার জন্য অনুমোদন দিবো।'
আর ভাঙন ঠেকাতে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, 'বাঘায় আমরা একটি প্রকল্প নিয়েছি। সেটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'