ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীতে এডিস নিধনে কাজ করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের চারগুণ ডেঙ্গু রোগী বাড়াতে পারে ঝুঁকি।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় চারগুণ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৌসুম আসার আগেই করোনার কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীতে এডিস নিধনে কাজ করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে দাবি করে সিটি করপোরেশন বলছে, বন্ধ অফিসগুলোতে জমে থাকা পানি বাড়াতে পারে ঝুঁকি।
২০১৯ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ায় এক লাখ। মৃতের সংখ্যা ১৭৯ জন। চলতি বছর শুরু থেকেই কিউলেক্স মশার উৎপাত এডিস নিয়ে শঙ্কা বাড়িয়েছে বহুগুণ।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৭১ জন। গত বছর এ সময়ে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে তাই বাড়তি ভাবনা ডেঙ্গু। যদিও রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলে হাসপাতালে ভর্তি না করার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের। তবে চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সবাইকে যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সিরিয়াস না হলে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। ডেঙ্গু যদি আরও বেড়ে যায় তবে ডেঙ্গু-করোনা একসঙ্গে সামাল দিতে আমাদের কষ্ট হবে। ঢাকা ফাঁকা থাকার সুযোগে এডিস নিধনে কাজ করার পরামর্শ নগরবিদদের।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ঘরে আটকে থাকা মানুষদের মাধ্যমে এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে যে বাড়িগুলোতে প্রজনন ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে সেগুলো ধ্বংস করতে হবে।
সিটি করপোরেশন বলছে, করোনা ঝুঁকি সামলানোর পাশাপাশি এডিস নিধনে পরিকল্পনামাফিক কাজ করছেন তারা।