বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা-দুর্নীতি: দুর্ভোগে বানভাসী মানুষ
বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা, দুর্নীতি আর পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে এখন পানিবন্দি বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। সমস্যা সমাধানে জনবল বাড়িয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যক্ষম করার পরামর্শ পানি বিশেষজ্ঞদের। তবে বন্যা দুর্গত মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের।
বন্যার পানিতে দিনাজপুর, সৈয়দপুরের শহররক্ষা বাঁধসহ ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন শহরের অনেক বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পাশাপাশি নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকিতে আছে সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যার পূর্বে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব আর বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় বন্যা কবলিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রয়েছে ১৪ হাজার কিলোমিটার মাটির বাঁধ। প্রতিবছর টানা বৃষ্টি আর পর্যাপ্ত অর্থের অভাবেই বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর অভিযোগ থাকলেও তা অস্বীকার করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। স্বাভাবিক জীবনে না ফেরা পর্যন্ত ত্রাণ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিভিন্ন নদীর পানি। তবে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা নদীর পানি একসঙ্গে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় ৮৮ বা ৯৮ সালের মত ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি বিশেষজ্ঞরা।