নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়রসহ আট নেতার কারাদন্ড
নিজেস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি মামলায় নড়াইলের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ আট জনপ্রতিনিধিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাইচন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন আদালতে হাজির হননি। অন্য অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে আসামী সোহরাব হোসেন বিশ্বাস নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফট (বিডি) হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনে অপর আসামি তৎকালীন পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয়জন কমিশনার (কাউন্সিল) ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহবার হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন করে ইজারার আহ্বান না করে আসামিরা অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিনবছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে তা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আটজনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বিচারক প্রত্যেক আসামীকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎ করা টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। বিকেলে তাদের যশোর কেদ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।