ঝিনাইদহে উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদের অত্যাচারে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কার্যক্রমের বেহাল দশা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভার প্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ দূর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানাবিধ অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাঃ জাহিদ নিজ জেলা ঝিনাইদহে ২০১১ সালে মেডিকেল অফিসার থেকে নিজ বেতনে উপ-পরিচালকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি নগ্ন ভাবে কর্মচারী ব্যাপক ভাবে নির্যাতন, ঘুষ, দূর্নীতি এবং নারী ঘটিত নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের একই কর্মস্থলে ০৩(তিন) বছরের বেশী সময় থাকার কথা না থাকলেও তিনি উপর মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘকাল একই স্থানে তার অবস্থান সুদূঢ় করে রেখেছেন। তার এই দীর্ঘ সময় ঝিনাইদহ অবস্থান কালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধি বর্হিভূতভাবে প্রায় ৫০০ (পাঁচশ) এর অধিক বার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাঝে ডেপুটেশন আদেশ দিয়ে প্রায় কোটি টাকার উর্ধ্বে ঘুষ বানিজ্য করেছেন। অত্র জেলায় ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি ৩ বার নিয়োগে প্রায় ১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। তিনি মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ০৫(পাঁচ) জন আয়া-পিয়নকে নিয়ম নীতি ভঙ্গ ও অগ্রাহ্য করে তুলে এনে নিজ কার্যালয়ে, নিজের বাসায় ফার-ফরমায়েশ খাটার জন্য ডেপুটেশন দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যশোরের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক সত্যপাঠ ও জাতীয় দৈনিক মাতৃছায়া এবং জাতীয় দৈনিক জরুরী সংবাদ পত্রিকায় গত ২৪/০৯/২০১৭ ইং তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ঘএঙ দের প্রত্যয়ন প্রদানেও বিপুল অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীদের নিকট থেকে তিনি ডেপুটেশন এবং বদলী সংক্রান্ত আদেশ দিয়ে ১০ থেকে ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে প্রমাণ রয়েছে। তার অত্যাচারে অত্র জেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে নিরব সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিরাজ করছে। তিনি মাঠ পর্যায়ের মহিলা কর্মচারীদের অজ্ঞাত কারণে বিকালে আসতে বলেন যখন অফিসে লোক সমাগম কম থাকে। চাকুরী হারানোর ভয়ে অনেক মহিলাই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তিনি ঝিনাইদহ জেলার ৫ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার নিকট থেকে ৫৩০০০ = ১,৫০,০০০/- টাকা ঘুষ নিয়ে নিজ বেতনে তাদেরকে সহকারী পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার পদায়নে আবেদন পত্র অগ্রায়ন করেছেন। তিনি অত্র জেলার বেশ কয়েক জন সংবাদিককে ম্যানেজ করে চলেন এবং ঈদ, পূজায় বোনাসের ব্যবস্থা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঝিনাইদহে তার অবস্থান দীর্ঘায়িত করার জন্য ক্ষমতাশীন দলের উল্লেখ যোগ্য নেতাকর্মীদেরও নিয়মিত ম্যানেজ করে থাকেন। জাহিদ তার সকল অপকর্ম আড়াল করে গত ২০১৬ সালে অত্র জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার পদক গ্রহণ করেছেন। শুধুতাই নয় পদক গ্রহণের পর সকল উপজেলায় অত্র বিভাগে তাকে সম্বর্ন্ধনা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদেরকে বাধ্য করেছিলেন এবং তিনি সংবর্ন্ধনা নেওয়ার পর শান্ত হয়েছিলেন। এলাকাবাসী এই অসৎ, দূর্নীতিবাজ, প্রত্যারক, ভ- কর্মকর্তার কাছ থেকে পদক ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বস্ত সুত্রের তথ্য অনুযায়ী আরো জানা গেছে, যশোরে চাকুরীকালীণ সময়ে তিনি জনৈক মহিলা সহকর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় উক্ত মহিলা দ্বারা ডাঃ জাহিদ এসিড আক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন যার ক্ষত চিহ্ন এখানও তার গলায় দুপাশে দৃশ্যমান। সুযোগ পেলেই তিনি মহিলা কর্মীদের কু-প্রস্তাব দেয়। অচিরেই এই কর্মকর্তার অপকর্মের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম অত্র জেলায় আরও মুখ থুবড়ে পড়ার আশংখা রয়েছে। এ ব্যাপারে ডাঃ জাহিদ আহমেদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন বিশেষ মহল সাংবাদিকদের নিকটে আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছে।