নওগাঁয় অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে যাত্রীদের চাঁপ বেড়েছে জয়পুরহাট জেলায়
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
নওগাঁ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট সহ দুরপাল্লার সকল রুটের বাস চলাচল গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু যা দ্বিতীয় দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্মঘট রয়েছে চালু। যাতে করে নওগাঁর পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাট জেলায় বেড়েছে যাত্রীসংখ্যার চাঁপ।
অনির্দিষ্টকালের ডাকা বাস বন্ধ ধর্মঘট বিষয়ের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়। বগুড়া জেলার শাহ্ ফতেহ আলী বাসের মালিক পক্ষ ও নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে গোপনীয় দ্বন্দ্বের জের ধরে গত শনিবার রাত থেকে দূরপাল্লার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে।
এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেট,রাজশাহী সহ উক্ত রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারনেরা।
নওগাঁ জেলার যাত্রীদের চাঁপ জয়পুরহাট জেলায় দেখে গতকাল সোমবার নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর দফতর বিষয়ক সম্পাদক, শরিফুল ইসলাম লিটনকে চ্যানেল ফোর টিভি নিউজ জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ মোবাইল ফোনে কথা বললে লিটন জানান যে মহাখালী থেকে নওগাঁর সাপাহার রুটে বগুড়া ও নওগাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের দুটি বাস সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে চলাচল করতো। গত কয়েক দিন ধরে বগুড়া জেলার শাহ ফতেহ আলী বাসের মালিক পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করে নওগাঁর বাসগুলো বগুড়ার উপর দিয়ে আসতে বাঁধা দেওয়ার জের ধরে এ অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তিনি ধর্মঘটের সময়সীমা সম্পর্কে আরও জানান যে এই ধর্মঘট কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারছে না।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের অনেকেই জয়পুরহাট জেলা হয়ে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অপরদিকে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট সীমিত হওয়াই ট্রেন যোগেও যাত্রী সাধারণরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে যেতে পারছেন না তাতে করে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর, রেলস্টেশনে দেখা মিলছে নওগাঁ জেলার যাত্রীসংখ্যাদের ব্যাপক ভীর।
কেননা আকস্মিকভাবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এই সকল রুটে যাতায়াতকারী সাধারন যাত্রীরা। এবং ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যাওয়া মানুষরা পড়েছেন চরম বিপদে তাই তাদের ছুটে আসতে হচ্ছে জয়পুরহাট জেলায় বেশিরভাগ দেখা যাচ্ছে যারা ঢাকার বিভিন্ন অফিসের কাজ করে তারা নওগাঁ থেকে না যেতে পারে তারা সকলেই জয়পুরহাট জেলা মুখী হয়েছে অনেকেই। এতে করে দুর্ভোগটি দুর্ভোগক্তারা আরও বিপাকে পরেছেন।