ডিএনডি বাঁধে জলাবদ্ধতা সরকার ও এমপিদের দায়িত্বহীনতার প্রকাশ – সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ফতুল্লা শাখার উদ্যোগে ১৬ই মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩টায় ইসদাইর বাজারে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা শাখার সম্পাদক রনজিত কুমার দাস। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, শহর কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সভাপতি এম.এ. শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা শাখার সদস্য মোঃ জালাল, আলমগীর হোসেন ও সৈয়দ মোফাজ্জেল হক প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিএনডি বাঁধের জলাবদ্ধতা আজ নতুন নয়। প্রায় ১৫ বছর যাবৎ বাঁধের ২০ লাখ মানুষ বর্ষাকাল আসলেই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে, কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। প্রতি বছর বর্ষাকাল আসলেই সরকার ও সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে জনগনকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু সমস্যার কোন সমাধান হয় না। গত বছর কমিউনিস্ট পার্টি ও বাসদের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহ ধরে ডিএনডি বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ পালন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেবার সময়ে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন ডিএনডি বাঁধের জন্য ৫৫৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী এই প্রকল্পের কাজ করবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ৬ মাস অনেক আগেই পার হয়েছে এখন পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। আসলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আবার বর্ষাকাল এসে পড়েছে। ডিএনডি বাঁধের ২০ লক্ষ মানুষের বিপদ ঝুলছে। জলাবদ্ধতা ছাড়াও ডাইং এর কেমিক্যাল মেশানো পঁচা পানিতে রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি ও মাঠ-ঘাট ডুবে থাকে। যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান কেমিক্যালযুক্ত পঁচা পানি ছাড়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না। অধিকাংশ রাস্তাঘাট একেবারেই ভাঙ্গা। ড্রেনের মেরামত হয় না। ড্রেনের সকল পঁচা পানিতে রাস্তা ডুবে থাকে, নিচু এলাকার বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে যায়। রাস্তার পাশেই জমা থাকে আবর্জনা। এই আবর্জনা পরিস্কার হয় না। সন্ধ্যা হলেই অসম্ভব পরিমান মশার আক্রমন চলতে থাকে। মশার ঔষধ ছিঁটানো হয় না। গাাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন, জলাবদ্ধতার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সবকিছু ফাঁকা বুলি হয়ে থাকে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। এইসব জনপ্রতিনিধিরা জনগনের জন্য কিছুই করতে পারে না। তাই ডিএনডিবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সকল সমস্যা নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েছে। মন্ত্রী এমপি ও সরকারী কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়নি। কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আমরা ১৬ হাজার টাকা জাতীয় নিন্মতম মজুরী ঘোষণার দাবী করছি।