তালতলীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভেঙে গেছে ব্রিজ
মো.মিজানুর রহমান নাদিম,তালতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীতে ছোটবগী ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল।
দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করায় ছোট বগী পিকে স্কুলের ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে তেমনি আশপাশের বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত চার-পাঁচ মাস আগে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজটির পাশ দিয়ে স্থানীয় জামাল ফকির নামের এক লোক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে। তার বাড়ীর পুকুর-ডোবা ভরাট করতে গিয়ে পিকে স্কুলের বগীর খালের বালু উত্তোলন করার ফলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে বলেন জানান এক স্কুল শিক্ষক।
উপজেলার ছোটবগী ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের দুটি খালের ওপরে ১৯৯১ সালে তৎকালীন সংসদ প্রয়াত মো. মজিবর রহমান তালুকদারের সেতুটি নির্মিত করেন।
সেতুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ২০ হাজারেও বেশি পথচারীদের দুর্ভোগের কমে অন্য দিকে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাশেঁর সাঁকো পারাপারের জনদুর্ভোগের অবসান ঘটেছিল।
ব্রিজটির পাশেই উপজেলার অন্যতম ছোটবগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এখন স্কুলে আসা-যাওয়ার নদী পারাপার ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে পড়ছে।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, এই ব্রিজটির কারণে আমরা ঠিক সময় স্কুলে যেতে পারছিনা অনেক পথ ঘুরে তার পরে স্কুলে যেতে হয়। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এই ব্রিজটি সংস্কার করে দেয়।
পি.কে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন চুন্নু জানান, স্থানীয় আ. ছত্তার ফকিরের ছেলে জামাল ফকির তার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য স্কুল সংলগ্ন ছোটবগী খাল থেকে বালু উত্তোলন করে তার বাড়ির পুকুর-ডোবা ভরাট করতে গিয়ে পিকে স্কুলের বগীর খালের ওপরস্থ ব্রিজের ক্ষতি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি জামাল ফকিরকে মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ জানান, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে ব্রিজটি ভেঙে গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।