১৯ বছর আগে দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
যশোরে কোতয়ালি থানায় ১৯৮৮ সালে দায়েরকৃত দুর্নীতির অভিযোগের মামলা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রোববার আদালত প্রায় ১৯ বছর আগে মামলাটির ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই মামলার সাক্ষীর জেরা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রোববার রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ৩২ বছর আগের এ মামলায় ১৯ বছর আগের দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
ঘটনার বিবরণী থেকে উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিকে ধানী জমি দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ প্রাক্কলন তৈরি করে আসামিরা বিভিন্নজনের নামে জাল রেকর্ড তৈরি এবং জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন কর্মকর্তা মো. আলী আকবর বাদী হয়ে ১৯৮৮ সলের ১৪ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানার মামলা করেন।
পরে একজন আসামি জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দিন সরদার সাক্ষীকে জেরা করতে না পারার কারণ দেখিয়ে ২০০১ সালের ৩০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আবেদন করেন। সেই আবেদন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে রিভিশন করেন তিনি।
হাইকোর্ট রিভিশনের শুনানি নিয়ে একই সালের ১২ নভেম্বর মামলাটিতে ৪ সপ্তাহের রুল ও তিন মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর মধ্যে কেটে গেছে ১৯ বছর। অবশেষে রোববার শুনানি শেষে আদালত রুল খারিজ করে দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।