মুন্সিগঞ্জের দিঘিরপাড়-হাসাইল সড়ক ভেঙে যাওয়ার তিন দিন পার হলেও মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক গ্রামের মানুষ।
রোববার (৫ জুলাই) সকালে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায় দিঘিরপাড়-হাসাইল-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের ভাঙ্গুনিয়া এলাকার একটি অংশ। এতে বন্ধ হয়ে যায় টঙ্গিবাড়ি উপজেলার সঙ্গে কামারখাড়া ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বালুর বস্তা দিয়ে মেরামতের চেষ্টা চালান স্থানীয়রা। কিন্তু গত তিনদিনেও সরকারিভাবে এ রাস্তাটি রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ভাঙ্গুনিয়ার এ ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করছে নসঙ্কর, আদাবাড়ি ও বাইনখারা এলাকায়। ক্রমেই পিচঢালা সড়কটির ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকাবাসী এটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, সড়কটি এলজিইডির অধীনে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) বলা হয়েছে।
কামারাখাড়া এলাকার ভাঙ্গুনিয়া পয়েন্টের কবরস্থানের পাশ দিয়ে এ রাস্তাটি চলে গেছে। পদ্মা থেকে অনেকটা দূরে হলেও এই রাস্তা ভেঙে যাওয়া অংশে দিয়ে পানি প্রবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই পদ্মা দূরে। সড়কটির দক্ষিণ প্রান্তে পানির উচ্চতার চেয়ে উত্তর প্রান্তের উচ্চতা ৪/৫ ফুট বেশি। তাই প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে উত্তর প্রান্তে। এই সড়কের একটি বড় কালভার্টের মুখও স্থায়ীভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে আগে থেকেই। তাই পানির প্রবল চাপ বেড়েছে ভাঙা পয়েন্ট দিয়ে।
কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হালদার বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির নির্দেশে স্থানীয়ভাবে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সড়কটি রক্ষায় সব চেষ্টা চলছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার বলেন, কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। কবরস্থান কমিটিও বালু বস্তা ফেলায় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
রোববার ভাঙনের পর স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. হাসিনা আক্তার স্থানীয় প্রকৌশলীকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু এখনও কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে কামারখাড়ার অন্যান্য সড়কও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলোও মেরামতের চেষ্টা চলছে স্থানীয়ভাবে। সরকারি রাস্তা রক্ষায় কারও কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, রোববার সকাল ৯টার দিকে প্রবল পানি তোড়ে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙনরোধে গাছ-পালা কেটে ফেলা হচ্ছে, জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে ; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাৎক্ষণিক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্রোতে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটির ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করছে। তাই স্থানীয় যোগাযোগে ব্যবস্থা বিপর্যয় পড়েছে।