ক্ষতির মুখে কৃষক, সবজির বাজারে অস্থিরতা নাটোরে
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই বড় ধরনের ধস নেমেছে নাটোরের সবজি বাজারে। শহরের বৃহত্তম পাইকারি সবজির বাজারে মাত্র এক টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। এছাড়া কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে আলুর দাম।
সবজি চাষি হালিম জানান, মুলা নিয়ে বাজারে এসেছি, বিক্রি করে এখন গাড়ি ভাড়াও তুলতে পারতেছি না।
শুধু বাবু ও হালিমই নয়। শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের দাম নাম না পেয়ে হতাশ। মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুতে কমেছে ১৫ টাকা। এছাড়া টমেটো, ফুলকপিসহ সবধরনের সবজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ তুলতে না পারার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
এক সবজি চাষি জানান, এভাবে সবজির দাম কমে গেলে, কীভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচবো। সবজি চাষের খরচ তো দূরের কথা, সবজি বহনকারী গাড়ি ভাড়াও বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে না।
এই পাইকারি বাজারে ডিসেম্বর জুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১২শ মণ সবজি সরবরাহ হলেও জানুয়ারিতে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ২ হাজার মণ। পর্যাপ্ত সরবরাহ হলেও ক্রেতা কম থাকায় সবজির দাম কমেছে বলে দাবি আড়তদারদের।
এক আড়তদার জানান, ক্রেতা কম থাকায় সবজির পর্যাপ্ত দাম কৃষকরা পাচ্ছেন না।
স্থানীয় কৃষিবিভাগ জানায়, প্রতিদিন নাটোর জেলায় প্রায় ৫শ মেট্রিক টন সবজির চাহিদা রয়েছে। আর হাট-বাজার গুলোতে সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ৬শ মেট্রিকটন সবজি।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে শহরের স্টেশন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি লাল আলু ১৮-২০ টাকা, সাদা আলু ১৭-১৮ টাকা, টমেটো ২৮-৩২ টাকা, ফুলকপি ৮-১০ টাকা, বেগুন ১৪-১৬ টাকা, মুলা ১-২ টাকা, লাউ ৮-১০ টাকা, সিম ১৪-১৫ টাকা, পেঁপে ৮-১০ টাকা, কোয়াশ ১২-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।