ফ্লাইট চালুর আগ্রহ দেখালেও সাড়া নেই ভারতের, বিপাকে বিমান
এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ভারতের সঙ্গে আবার ফ্লাইট চালু করতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচক প্রস্তাব পাঠালেও ১৫ দিনেও কোনো জবাব দেয়নি ভারতের সিভিল এভিয়েশন। ফলে কবে নাগাদ দুই দেশের মধ্যে আবার আকাশপথে যোগাযোগ চালু হবে সে বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। যদিও গত ১১ জুলাই ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকেই প্রথম দুদেশের মধ্যে আবার ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে ৪ আগস্ট ভারতের সিভিল এভিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেলকে ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচক। এখনো সে চিঠির জবাব পায়নি বেবিচক। অথচ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ১৭ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা ব্যক্ত বলেছিলেন, এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ২০ আগস্টের মধ্যে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হবে। এদিকে সিভিল এভিয়েশন ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার আগেই ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে টিকিট বিক্রি করে বিপাকে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১৮ আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ভারতের দিল্লী ও কলকাতায় ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেয়। সপ্তাহে দুই দিন দিল্লী ও তিন দিন কলকাতায় ফ্লাইট চালানোর শিডিউল ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণা মোতাবেক টিকিট বিক্রি শুরু করে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। বিমান ছাড়া বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স টিকিট বিক্রি না করায় বিভ্রান্ত হয় যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। এক পর্যায়ে আবার টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় বিমান। এভাবে অনুমতি ছাড়াই ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করায় বিমানকে সতর্ক করেছে বেবিচক। এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার সময় সংবাদকে বলেন, 'মার্কেটিং বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বিমান ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করেছিল।' তবে শিডিউল স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, 'যেসব যাত্রী টিকিট ক্রয় করেছেন তারা টাকা ফেরত নিতে পারবেন বা পরবর্তীতে ফ্লাইট চালু হলে বাড়তি কোন চার্জ ছাড়াই যেতে পারবেন।' করোনার মধ্যেই এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় গত বছরের ২৮শে অক্টোবর থেকে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চলছিল। প্রতিবেশী দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ১৪ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে ৫৬টি ফ্লাইট চলাচল করতো। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান জানান, ভারত সম্মতি দিলেই ফ্লাইট চালু হবে। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ভারত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।