ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম কারাগারে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, ২৯ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক শুনানি শেষে নাজমুলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ২৩ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২ সেপ্টেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৬ আগস্ট গুলশান-১ এর ১৩৭ নম্বর রোডে অবস্থিত ই-অরেঞ্জের কার্যালয় রোড এবং গুলশান-২ চত্বর আটকে আন্দোলন করেন ভুক্তভোগীরা। বিক্ষুব্ধ ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক পণ্যের অর্ডার নেওয়ার পর ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মকর্তারা লাপাত্তা। তাই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও এখন তাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়। নিরূপায় হয়ে দিনভর ক্রেতারা বিক্ষোভ করেন ই-অরেঞ্জের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে। পরে, ১৭ আগস্ট সকালে গুলশান থানায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জনও উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহারে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। এদিকে ই-অরেঞ্জের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। সেসময় মাশরাফি জানান, দুই মাস আগে ই-অরেঞ্জের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।