তালতলীতে মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরন ২লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী ১৫দিনেও উদ্ধার হয়নি
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV :
বরগুনার তালতলী উপজেলার দাখিল পরীক্ষার ফলপ্রাপ্ত এক মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরনের ১৫দিনেও উদ্ধার হয়নি। সে উপজেলার পূর্ব সওদাগরপাড়া গ্রামের ফারুক বয়াতির কন্যা। জানা গেছে, উপজেলার হরিনখোলা সিএনএ দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী লিমা আকতার ২৯ এপ্রিল রাতে নিজ বাড়ি ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রকৃতির ডাকে গভীর রাতে ঘরের পশ্চিম পার্শ্বের দরজা খুলে বাইরে নামলে ওত পেতে থাকা অপহরন কারীরা মুখ বেঁধে অপহরন করে নিয়ে যায়। হঠাৎ ঘরের ও আসপাশের লোকজন কিছু ডাক চিৎকার শুনে বাইরে নেমে অনেক খোজাখোজী করেও লিমাকে উদ্ধার করতে পারেনি। লিমার পিতা ফারুক বয়াতী বাদী হয়ে পরদিন তালতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
লিমার বাবা ফারুক বয়াতী জানান, মামলা দায়েরের পর তার কাছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকার মৃতু ছয়জদ্দিন ব্যাপারির পুত্র হালিম ও কলাপাড়ার জালালপুর গ্রামের শাহজাহান খলিফার পুত্র শহিদ লিমাকে ফেরত দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে (শহিদ ০১৭১৬৬৩৯৬৭৮ ও হালিম ০১৭২১৮১০০৪১ নাম্বার দিয়ে) মুক্তিপন হিসেবে দুই লাখ টাকা ও ব্যাংক স্বাক্ষরকৃত ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্প দাবি করেন। ফারুক বয়াতি আরও জানান, তার মেয়ে হরিনখোলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর দাখিল পরিক্ষা দিয়েছিল। অপহরনের ৫দিন পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সে জিপিএ ৪.৫০ পেয়েছে। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হলে লিমা অপহরন হয়। অপহরনের আগে বেশ কয়েকদিন লিমাকে তুলে নিতে আসামী রুবেল বহুবার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এ মামলা দায়েরের পর হালিম ব্যাপারি ও শহিদ মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন।
তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবির ব্যাপারটি শুনেছি। আসামি গ্রেফতারের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।