অস্ত্রসহ ১৬ ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক
শুক্রবার রাতে রামপুরা ও রমনা এলাকা থেকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময়ে তাদরে কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি গুলি, দুটি চাপাতি, চারটি ছুরি, একটি ওয়াকিটকি, তিনটি ডিবি লেখা জ্যাকেট, দুটি হ্যান্ডকাপ, দুটি বেতের লাঠি, একটি ব্যাগ ও দুটি ডিবি স্টিকার উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ তিনটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জুয়েল রানা, ইয়াসিন, বাদল, মোমেন আলী, শহিদুল ইসলাম, ফিরোজ, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, মো. বালী ও সবুজ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই নয়জনকে ছাড়াও গতকাল রাতে ডিবি উত্তরের একটি দল হোটেল শেরাটনের দক্ষিণ পাশ থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন লিটন খান, বাবলু মিয়া ওরফে আকাশ, মনির হোসেন, সাইদুর রহমান, মো. মনির হোসেন, মাহমুদুল হাসান ও আফজাল হোসেন। তাঁদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, দুটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১৭টি অব্যবহৃত মোবাইল সিম, লাঠিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মলেনে জানানো হয়, রমজানের আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা উত্তোলন ও ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জায়গায় এই চক্রটি সোর্স নিয়োগ করে সুযোগ বুঝে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
পুলিশ সদস্যদের বাইরে ভুয়া ডিবি বা পুলিশ সদস্যদের কাছে হাতকড়া বা পুলিশ পোশাক কীভাবে যায়—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন: খোলা বাজারে এসব পোশাক ও সরঞ্জাম কিনতে পাওয়া যায়। যারা বিক্রি করেন, তাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের বাইরে যেন পোশাক ও সরঞ্জামাদি বিক্রি না করেন। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এসব ঘটনার সঙ্গে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য জড়িত নন বলে জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।