ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট, ঢাকা-টাঙ্গাইলে যান চলছে স্বাভাবিক
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বুধবার ভোর চারটা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর এলাকা থেকে গজারিয়ার মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগ।
অবশ্য ঢাকা থেকে কুমিল্লার পথে তেমন যানজট নেই। ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি বাসের যাত্রী দাউদকান্দির গয়েশপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি সকাল ছয়টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে রওনা দিয়ে দুই ঘণ্টায় দাউদকান্দিতে পৌঁছেছেন। পথে তেমন যানজট পাননি।
গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) এসআই সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, চার লেনের গাড়িগুলো মেঘনা সেতুতে দুই লেনে চলাচল ও ধীরগতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় যানজটে তেমন ভোগান্তি না হলেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকাল থেকেই ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়, কোনাবাড়ি, সফিপুরসহ যানজট প্রবণ এলাকাগুলো দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কাজ বন্ধ ও আবহাওয়া অনুকল থাকায় এ মহাসড়কের কোনো পয়েন্টেই এখন যানজট নেই। একই অবস্থা ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়কেও। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে যানজট সহনীয় মাত্রায় রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে, চন্দ্রাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে। রয়েছে রিজার্ভ গাড়ির লম্বা সারি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে তাদের দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।