গ্রাহকপর্যায়ে ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত
গ্রাহকপর্যায়ে ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা তিনি বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকারের ভূর্তুকি কমাতেই প্রতিবছরই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে তবে মানুষের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায় সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা বা ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহকপর্যায়ে ৩৫ পয়সা বা ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। পাইকারি ক্ষেত্রে পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে সরবরাহ করা এবং বর্তমান মূল্যের পার্থক্য রয়েছে ৭২ পয়সা।
এই পরিমাণ মূল্য বাড়িয়ে ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব। আর বিইআরসির কাছে দেয়া প্রস্তাবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতাও রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীও জানান, বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকারি ভূর্তুকি তুলে নিতে চান তারা— এজন্য বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করার চিন্তা করছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে তেল-গ্যাস আমদানি শুরু হলে দেশীয় সম্পদের ওপর চাপ কম পড়বে তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও কমে আসবে।
তিনি আরো জানান, আগামী একবছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
এদিকে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাইকারি পর্যায়ে পাঁচবার এবং খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার নিয়ে আটবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম।